ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

জলবায়ু ঝুঁকিতে ঐকমত্য

চুক্তি বাস্তবায়ন জরুরি

সম্পাদকীয়-১
🕐 ৯:৩৯ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৮

বৈশ্বিক উষ্ণতার করাল গ্রাসে পুরো বিশ্বই যখন আক্রান্ত, তখন এ নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিয়মিত আলোচনা হবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এসব বড় বড় আয়োজন খুব সহসাই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়ে যায়। কারণ কথাগুলো সভা-সেমিনারের গণ্ডি পেরিয়ে বাস্তবে আর রূপায়িত হয় না। তবুও  বিশ্ব মানচিত্রে ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য আমরা জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে কথা বলি। আমাদের অধিকারের জানান দিই, তাছাড়া এ অধিকার আদায়ে বিশ্বব্যাপী প্রক্রিয়ায় শুধু যে আমরা আছি তাই নয়, বরং অন্য ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোও আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছে যা খুবই ইতিবাচক।

পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, দীর্ঘ আলোচনার পর জলবায়ু চুক্তি বাস্তবায়নের নীতিমালা নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। সম্প্রতি পোল্যান্ডে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনের নির্ধারিত সময়সীমা পার হওয়ার একদিন পর গত শনিবার এ ইস্যুতে মতৈক্যে পৌঁছেন এতে অংশ নেওয়া প্রায় ২০০টি দেশের প্রতিনিধি।

গত ৩ ডিসেম্বর শুরু হওয়া এ সম্মেলন ১৪ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চুক্তি বাস্তবায়নে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি আশানুরূপ অগ্রগতিতে পৌঁছতে না পারায় নির্ধারিত সময়ের পরও সম্মেলন অব্যাহত থাকে। তবে শেষ পর্যন্ত গত শনিবার মতৈক্যে পৌঁছতে সমর্থ হন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি। এবারের সম্মেলনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, ২০১৫ সালে প্যারিসে স্বাক্ষরিত চুক্তি বাস্তবায়নের নীতিমালা তৈরি করা, যাকে ‘রুলবুক’ বলছেন আলোচকরা। কিন্তু আলোচনার শেষ দিনে এসেও আলোচকরা নিশ্চিত হতে পারেননি, একটি রুলবুক পাওয়া যাবে। তবে শনিবার এ নিয়ে অনিশ্চয়তার আপাত অবসান হয়।

জানা যায়, ২০১৫ সালের প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে যত দ্রুত সম্ভব কার্বন নির্গমন কমানো এবং এই গ্যাসের উৎপাদন ও সরবরাহের মধ্যে ভারসাম্য আনার কথা বলা হয়েছিল। এছাড়া বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ‘বেশ নিচে’ রাখার কথা বলা হয়। এত সব ইতিবাচক সিদ্ধান্তের ভিড়ে আমরা আশাবাদী হতে পারি। কারণ যেসব দেশের কারণে পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে সেসব দেশও জলবায়ুর ক্ষতি নিরসনের জন্য উদ্যোগী হয়েছে। এখন অতীতের মতো প্রতিশ্রæতিগুলো শুধু কাগজে কলমে না থেকে বাস্তবে রূপ লাভ করুক আমরা সেটিই চাই। আমরা বিশ্ব নাগরিক হিসেবে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী রেখে যেতে চাই। এজন্য জলবায়ু চুক্তি বাস্তবায়ন হোক এবং ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো যথাযথ ক্ষতিপূরণ পাক আমরা সে প্রত্যাশা করি।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper