ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

জটিল হচ্ছে নির্বাচনী পরিবেশ

ইসির জোরালো ভূমিকা কাম্য

সম্পাদকীয়-১
🕐 ৯:৫৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৮

ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে নির্বাচনী পরিবেশ-পরিস্থিতি। কোনোভাবেই যেন ঠেকানো যাচ্ছে না সন্ত্রাস-সংঘর্ষ-সহিংসতা। এ ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে দিন দিন জমে উঠছে অভিযোগের পাহাড়। গত শনিবার নোয়াখালীতে নিজ নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালী-১-এ এক প্রচারণা সমাবেশ থেকে ফেরার পথে খোদ পুলিশের গুলিতেই আহত হয়েছেন বিএনপি প্রার্থী ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন। পুলিশ অবশ্য বলেছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতেই তারা গুলি চালিয়েছে। খোকন নিজেও বলেছেন, স্থানীয় সোনাইমুড়ি বাজারে তিনি যখন নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছিলেন, তখন আওয়ামী লীগ ও তার দলের কর্মী-অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি ছোড়ে এবং এতেই তিনি আহত হন।

একই দিন রাজধানীতে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় হামলা হয়েছে ঢাকা-৮ আসনের বিএনপি প্রার্থী মির্জা আব্বাসের ওপর। এতে তার দলের ৬০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে মির্জা আব্বাস অভিযোগ করেছেন, পুলিশের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ক্যাডাররা এ হামলা চালিয়েছে। নির্বাচনী প্রচারণার আগে রমনা ও শাহবাগ থানায় নিরাপত্তা চেয়ে চিঠি দিলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলেও তিনি অভিযোগ করেছেন। এদিন বিচ্ছিন্ন হামলার খবর এসেছে কক্সবাজার-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, পটুয়াখালী ও ভোলা আসনের বিএনপি প্রার্থীদের ওপরও। এসব হামলার ঘটনায় অনেকে হতাহত হয়েছেন। এসব হামলা বা সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের নিষ্ক্রিয় ভূমিকা বা উপযুক্ত ব্যবস্থা না পাওয়ার অভিযোগ আসছে একের পর এক। এটা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।

গত ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে রাজধানীর মিরপুর স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণকালে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ওপর হামলা হলে একই অভিযোগে সরব হয়েছেন ড. কামাল হোসেন। এ হামলা চলাকালে পুলিশের নিষ্ক্রিয় ভূমিকার জন্য তিনি তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করেছেন। বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভীও অভিযোগ করেছেন, সারা দেশে এ পর্যন্ত তার দলের ১৫০ প্রার্থীর ওপর হামলা হয়েছে পুলিশের উপস্থিতিতেই।

এত সব অভিযোগের বাহুল্য অংশটুকু ছাঁটকাট করে ফেললেও স্বীকার করতেই হবে, যাহা কিছু রটে, তার কিছু অবশ্য সত্য বটে। তা যদি হয় তবে এটাও মানতে হবে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশ মানছে না এবং ইসিও এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের স্বার্থে আমরা ইসির সর্বোচ্চ সক্রিয়তা, নিরপেক্ষতা ও কঠোর অবস্থান কামনা করি। আমরা আশা করি, অতীতের সমস্ত সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠে এবারের নির্বাচনে ইসি একটা স্বাধীন, শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজের পরিচয়কে সমুজ্জ্বল করে তুলবে। অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীও তাদের ওপর অর্পিত নির্বাচনী দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper