ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

প্রচার-প্রচারণায় ভোটযুদ্ধ শুরু

শেষটাও যেন হয় উৎসবের আমেজেই

সম্পাদকীয়-১
🕐 ৯:৪৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১১, ২০১৮

গত ১০ ডিসেম্বর প্রতীক পাওয়ার পরপরই প্রার্থীরা পূর্ণোদ্যমে প্রচারণায় মাঠে নেমে পড়েছেন। উঠান বৈঠক, ঘরোয়া সভার সীমা পেরিয়ে এখন পথে-ঘাটে, হাটে-মাঠে, পাড়ায়-পাড়ায়, মহল্লায়-মহল্লায় সর্বত্র চলছে সমাবেশ, মিছিল, গণসংযোগ, পোস্টারিংসহ সরগরম প্রচার-প্রচারণা। বিধান অনুযায়ী  এ প্রচারণা শেষ হবে ভোটের ৩২ ঘণ্টা আগে, ২৮ ডিসেম্বর রাত ১২টায়।

নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হওয়ার পর চারপাশে যেন একটা উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে। টানা ১০ বছর পর একটা প্রকৃত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় একে ঘিরে একটা ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার বার্তাবরণ সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনী বিধি মেনেই প্রার্থীরা প্রচারণা চালাচ্ছেন বলে আপাতদৃষ্টিতে মনে জচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রচারণাকালে নির্বাচনী বিধিমালার ব্যাপারে প্রার্থীদের সজাগ থাকতে হবে। প্রচারের সময় আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘন ঠেকাতে ইতোমধ্যেই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে ইসি। এর পাশাপাশি নির্বাচনী তদন্ত কমিটিও ভোটের মাঠে কাজ করছে। কোনো প্রার্থী বা দলের নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের ব্যাপারে যে কেউ এ কমিটিতে অভিযোগ করতে পারবেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য ৬৪০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করছে নির্বাচন কমিশন। ভোট নেওয়ার দিন, তার আগের দিন, এবং পরের দুই দিন নির্বাচনের মাঠে নিয়োজিত থাকবেন তারা। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা তাদের দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে সংবিধান ও আইনের ভিত্তিতে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, নির্বাচন কীভাবে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করবেন, সেটা তারাই স্থির করবেন তাদের মেধা ও প্রজ্ঞার সাহায্যে, স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে বিচারকের মনমানসিকতা প্রয়োগের মাধ্যমে।

প্রতিশোধ বা প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি জনগণ আর চায় না। প্রকৃত গণতন্ত্রের স্বার্থে দেশে এবার একটা সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হোক, তাতে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের চাওয়ার প্রতিফলন ঘটুক, এটাই আমাদের একান্ত কাম্য। এ চাওয়াকে বাস্তবে পরিণত করার জন্য আমরা মূলত নির্বাচন কমিশনের মুখের দিকেই চেয়ে আছি। ইসি যেন তার অতীতের সব সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠে এবারের নির্বাচনে একটা দৃঢ়তা ও নিরপেক্ষতার আদর্শ তুলে ধরে আগামীর জন্য উদাহরণ হয়ে থাকতে পারে। শান্তিপূর্ণ আবহে যে ভোট উৎসবের শুরু হয়েছে, শেষটাও যেন হয় সেই উৎসবের আমেজেই।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper