ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ

প্রতিরোধে চাই সতর্কতা ও সচেতনতা

সম্পাদকীয়-২
🕐 ৯:৪৫ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৮

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ও লিকেজ ইদানীং দুই বিশাল ঘাতকে পরিণত হয়েছে। গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ও লিকেজের দরুন হতাহতের ঘটনা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। জানা গেছে, গত মাসে শুধু ঢাকা বিভাগেই গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়েছে ৪৮টি এবং গ্যাস লাইনে লিকেজের কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে ৫৫টি। এসব দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন শিশুসহ ছয়জন। গুরুতর অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অন্তত ৩১ জন, যাদের মধ্যে অনেকেই পরে মারা গেছেন। সারা দেশের পরিসংখ্যান পাওয়া গেলে এ সংখ্যা আরও কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।

গ্যাস নিঃসরণ ও বিস্ফোরণে এ ধরনের দুর্ঘটনার কারণ বহুবিধ। গ্যাস ব্যবহারকারী ও সরবরাহকারী-দুপক্ষেরই অসাবধানতা ও অবহেলাজনিত দায় রয়েছে দুর্ঘটনার পেছনে। সংশ্লিষ্টদের মতে, বাসাবাড়ির গ্যাসের পাইপলাইনে ছিদ্র, অসাবধানতায় চুলার নব বা সুইচ বন্ধ না করা প্রভৃতি কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটছে।

ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক আলী আহাম্মেদ খান বলেছেন, নিম্নমানের সিলিন্ডার ও গ্যাস ব্যবহারের ত্রুটিপূর্ণ যন্ত্রপাতির কারণে বেশিরভাগ দুর্ঘটনা ঘটছে। সঠিক দিকনির্দেশনা ও নিয়মিত পর্যবেক্ষণ না থাকলে এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধ সম্ভব নয় বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

তার এ অভিমত প্রণিধানযোগ্য। এ ব্যাপারে যত তাড়াতাড়ি কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া যাবে, ততই মঙ্গল। তিনি বলেছেন, গ্যাস ব্যবহারকারী সাবধান ও সচেতন থাকলে এবং গ্যাস লাইন নিয়মিত পরিদর্শন ও পরীক্ষার ব্যবস্থা করলে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো যেতে পারে বলে মন্তব্য বরেন তিনি।

গ্যাসের সঠিক ও নিরাপদ ব্যবহারের বিষয়ে বিভিন্ন সামাজিক ও গণমাধ্যমে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান প্রচারের ওপরও গুরুত্ব দেন ফায়ার সার্ভিসের ডিজি। তার বক্তব্যে যত বেশি ও তাড়াতাড়ি কর্ণপাত করা যায়, ততই মঙ্গল। সংশ্লিষ্ট সবার সচেতনতা ও সম্মিলিত প্রয়াসে প্রাণঘাতী ‘গ্যাস বোমা’ থেকে পরিত্রাণ মিলুক, এটাই আমাদের চাওয়া।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper