ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

সভ্যতার শত্রু প্লাস্টিক ও পলিথিন

বৃদ্ধি পাক পাটের ব্যবহার

সম্পাদকীয়
🕐 ৯:৫০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ০৯, ২০১৮

মানব সভ্যতা বিকাশের ক্ষেত্রে প্লাস্টিক ও পলিথিনের ভূমিকা থাকলেও এসব ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ না থাকায় বেড়ে যাচ্ছে দূষণের মাত্রা। বিশেষ করে পচনশীল দ্রব্য পাটের ব্যবহার না করে আমরা পলিথিনের ব্যবহার করেই চলেছি। অন্যদিকে প্লাস্টিক দ্রব্যের ব্যবহার বর্তমানে অনেক বেড়ে গেছে।

খোলা কাগজে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, প্রতিদিন সারা বিশ্বে যে ৩৬ লাখ টন কঠিন বর্জ্য ফেলা হয়, তার মধ্যে প্রায় ১০ শতাংশ এই সর্বনাশা প্লাস্টিক। প্রতিবছর সাগরের কোলে ঠাঁই নেয় প্রায় এক কোটি টন প্লাস্টিক। গবেষণার ফলাফলে জানা যায়, সাগরের যত প্লাস্টিক বর্জ্য তার ৯০ শতাংশ এশিয়া ও আফ্রিকার ১০টি নদী বয়ে নিয়ে আসে। এশিয়ার ইয়াংসি নদী একাই প্রায় ১৫ লাখ টন বর্জ্য সাগরে বয়ে নিয়ে যায়। বর্তমানে যেভাবে চলছে, ঠিক সেভাবে চলতে থাকলে ২০৫০ সাল নাগাদ সাগরে মাছের চেয়ে প্লাস্টিকের ওজন বেশি হবে।

এদিকে পলিথিন নিয়ে গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু কিছু পলিথিন চার থেকে পাঁচশ বছরেও পচে না। বিশ্বে এখন প্রতিবছর মাথাপিছু ৬০ কেজি প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়। উত্তর আমেরিকা, পশ্চিম ইউরোপ ও জাপানের মতো শিল্পোন্নত দেশগুলোয় এ পরিমাণ মাথাপিছু ১০০ কেজিরও বেশি। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বর্তমান অবস্থা চলতে থাকলে ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বে প্লাস্টিক-বর্জ্যরে পরিমাণ গিয়ে দাঁড়াবে ১২ বিলিয়ন টনে। তা হবে এক মহাবিপর্যয়ের অশনি সংকেত!

অথচ মাটির নিচে পচনশীল হওয়ার পরও পাটশিল্প অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতির কারণে এখনো তার সংকট পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেনি। এখনো বিক্রি না হওয়ায় ৪০ হাজার টন পাটপণ্য অবিক্রীত অবস্থায় আছে। মজুদ এসব পণ্যের মূল্য সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা। পণ্য বিক্রি না হওয়ায় তাদের হাতে টাকা নেই। আছে ব্যাংক ঋণের চাপ।

তাই পরিবেশ রক্ষায় আমাদের এখনই সচেতন হতে হবে। এ জন্য পলিথিনের ব্যবহার কমিয়ে আমাদের উচিত পাটের তৈরি পণ্য ব্যবহার করা এবং প্লাস্টিকের ক্ষেত্রে রিসাইক্লিং নিশ্চিত করে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে ভূমিকা রাখা।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper