বাজেট নিয়ে সিপিডি ও অর্থমন্ত্রীর দু’রকম মূল্যায়ণ
সম্পাদকীয় ডেস্ক
🕐 ২:৪১ অপরাহ্ণ, জুন ১২, ২০২২
প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের ওপর পর্যালোচনা তুলে ধরে সিপিডি বলেছে, আগামী অর্থবছর সরকার মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ৬ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে। কিন্তু কোন জাদুবলে এ লক্ষ্য অর্জিত হবে অর্থমন্ত্রী তা বলেননি। সিপিডির দৃষ্টিতে এ বাজেট ধনীদের জন্য ভালো। শুক্রবার রাজধানীর হোটেল লেকশোরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাজেটের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংস্থাটির বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান।
বিদেশে পাচার হওয়া টাকা দেশে ফিরিয়ে আনার সুযোগকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও নৈতিক তিনভাবে অগ্রহণযোগ্য বলছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
সংস্থাটি বলেছে, পাচার হওয়া টাকা দেশে আনার বৈধতা দিলে যারা নিয়মিত কর দেন, তারা হতাশ হবেন। যারা সৎভাবে ব্যবসা করছেন, তারা কর দিতে নিরুৎসাহিত হবেন। পাচার হওয়া টাকা দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগকে সিপিডি সমর্থন করে না। বৃহস্পতিবার সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল পাচার হওয়া টাকা সাড়ে সাত শতাংশ কর দিয়ে বৈধ করার সুযোগের প্রস্তাব করেন। প্রথমবারের মতো পাচারকারীদের এ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। সাড়ে সাত শতাংশ কর দিয়ে টাকা আনলে দেশের অন্য কোনো আইনে তাকে প্রশ্ন করা হবে না।
তবে, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলছেন, বাজেটে জনগণের কথা বিশেষভাবে বিবেচনা করা হয়েছে। সবাইকে উদ্বুদ্ধ করার জন্যই এবারের বাজেট দেওয়া হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতি যে ক্ষতির মুখে পড়েছে সেটা থেকে উত্তরণের কথা মাথায় রেখেই এবারের বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। এই বাজেটকে কঠিন সময় অতিক্রম করতে হবে এবং অনেক চড়াই-উতরাই আসবে। তবে এবারের বাজেট বাস্তবায়ন হলে দেশের অর্থনীতি আগের তুলনায় অনেক শক্তিশালী হবে। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে গতকাল শুক্রবার বিকেলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
পাচার করা টাকা ফেরত আনার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিদেশে পাচার হওয়া টাকা দেশের মানুষের হক, সেগুলো ফেরত আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা নতুন কিছু না। অনেক দেশে এটি কার্যকর করেছে। ইন্দোনেশিয়া ২০১৬ সালে এমন একটি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিলে। তখন তারা ৯ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার বিদেশ থেকে নিয়ে এসেছিল। সব টাকা কালো টাকা না। কিছু টাকা বিভিন্ন কারণে কালো টাকা করতে হয়।
আমরা বিশ্বাস করি এবার আমরা সফল হবো। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেন, আমরা বিভিন্ন সোর্সে খবর রাখি। তবে টাকা পাচার হওয়ার কোনো প্রমাণ পাইনি। বাজেট নিয়ে সিপিডি ও অর্থমন্ত্রীর দু’রকম মূল্যায়ণ হলেও সময়ই বলে দেবে ঘোষিত এ বাজেটের রুপ কেমন হবে। আমরা ভালো কিছু দেখার প্রত্যাশায় থাকলাম।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228