ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বন্ধ হোক ‘পুকুর চুরি’

সম্পাদকীয়
🕐 ২:৩৯ পূর্বাহ্ণ, মে ৩০, ২০২২

বন্ধ হোক ‘পুকুর চুরি’

বড় ও অবিশ্বাস্য ধরনের দুর্নীতিকে পুকুর চুরি নামে আখ্যায়িত করা হয়। বাংলা ব্যাকরণে এই পুকুর চুরি বরাবরই ‘মজাদার’ বিষয়। পুকুর যেহেতু স্থানান্তরযোগ্য বস্তু নয়, কীভাবে এটা চুরি হতে পারে! তবে পুকুর দখলের অপসংস্কৃতি পুরনো। 

গতকাল খোলা কাগজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ফরিদপুরের নগরকান্দায় রাতের আঁধারে পৌরসভা ভবনের সামনের একটি সরকারি পুকুরের জমি বাঁশ দিয়ে ঘিরে দখল করে নেওয়া হয়েছে। গত ঈদের সময় থেকে এ পুকুরের জমি দখলের জোর চেষ্টা চলছিল। অবশেষে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ভূমিদস্যুরা সেটি দখল করে। ইতোমধ্যে পুকুরের দক্ষিণ পাশে প্রায় এক চতুর্থাংশ জায়গা বাঁশ গেড়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। সেখানে পুকুর ভরাট করে দোকান ঘর তৈরির প্রস্তুতি চলছে।

এমন ঘটনায় নগরকান্দা পৌর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে দখলকারীদের নোটিস দেওয়া হয়েছে। ছাগলদি গ্রামের আবুল হোসেন ফকির, রাজিব হোসেন, সাইফুল আলম শরিফ, চৌমুখার জিল্লুর রহমান, শশার বদিউজ্জামান শরিফ ও নগরকান্দা সদরের মোশাররফ হোসেন মিয়াকে গত শুক্রবার এসব নোটিস দেওয়া হয়। অননুমোদিতভাবে তাদের সেখানে কোনো স্থাপনা নির্মাণ বা ভরাট না করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। নগরকান্দা পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাসির মাহমুদ বলেন, নগরকান্দা পৌরসভার অস্থায়ী কার্যালয়ের পাশেই প্রায় ৩০ শতাংশ জায়গাজুড়ে পুকুরটি অবস্থিত। পুকুরের দক্ষিণে রাস্তা সংলগ্ন কিছু ব্যক্তিমালিকানা জমি রয়েছে।

পৌর মেয়র নিমাই চন্দ্র সরকার বলেন, প্রায় ৩০ শতাংশ জমিজুড়ে পুকুরটি বিস্তৃত। রাতের আঁধারে ওই পুকুরের বিরাট অংশ বাঁশ দিয়ে ঘিরে দখল করা হয়েছে। এ জমি সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত। এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তিনি জানান, অনুমোদন না নিয়ে ওই পুকুরের জায়গা ভরাট করে ঘর নির্মাণ করতে নিষেধ করা হয়েছে এবং সশরীরে হাজির হয়ে এ ব্যাপারে জানানোর জন্য জবরদখলদারীদের অনুরোধ করা হয়েছে।

দখলকারীদের পক্ষে জিল্লুর রহমান নামে একজন পুকুরের একপাশে বাঁশ গেড়ে দখলের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওই পুকুরের লাগোয়া তিন শতাংশ জমি রয়েছে তাদের তিন ভাইয়ের নামে। আমাদের দখলের ওই জমির পরিমাণ কম-বেশি হতে পারে তাই আমরা পুকুরের একপাশে বাঁশ গেড়ে বেড়া দিয়েছি। এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এনএম আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, পুকুরের জমি দখলের জন্য অনেক আগে থেকেই চেষ্টা চলছে। ঈদের আগে এজন্য রাত জেগে পাহারা দিয়েছি। রাতের আধারে ওই পুকুরের জমি বাঁশ গেড়ে দখলের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা সংশ্লিষ্টদের এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যথাযথ কাগজপত্র দেখাতে না পারলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুকুর দখলের এই অপসংস্কৃতি বন্ধে জোরালো ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। সংশ্লিষ্টরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন বলেই প্রত্যাশা।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ


Warning: Invalid argument supplied for foreach() in /home/www/kholakagojbd.com/post/details-page.php on line 228
Electronic Paper