ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

৮০ লাখেই মিলবে ইফাদের এসি বাস

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৭:১১ অপরাহ্ণ, মার্চ ০৪, ২০২১

৮০ লাখেই মিলবে ইফাদের এসি বাস

একটি বড় ধরনের এসি বাস আমদানি করতে যেখানে এক কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয় হবে। সেই একই এসি বাস স্থানীয়ভাবে নির্মিত কারখানা থেকে ক্রয় করতে খরচ হবে ৮০ লাখ টাকা। তবে ৫০ লাখ সাশ্রয়ে এই এসি বাস সরবাহের লক্ষ্য নিয়ে গতকাল বুধবার ঢাকার অদূরে যাত্রা শুরু করল ইফাদ অটোস।

এসি বাসের বাজারজাত উদ্বোধন করেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ হুমায়ুন। ইফাদ গ্রুপের চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ টিপুর সভাপতিত্বে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, স্থানীয় এমপি বেনজির আহমেদ, ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মুন্সী শাহাবুদ্দিন আহমেদ, ইফাদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ, ইফাদ অটোজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসকিন আহমেদ, পরিচালক তাসফিন আহমেদ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এমপি বলেন, জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে সাশ্রয়ী মূল্যে বিশ্বমানের গাড়ি দেশেই উৎপাদন করা বর্তমান সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। এ লক্ষ্য অর্জনে শিল্প মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে অটোমোবাইল শিল্পের বিকাশে একটি নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। এ শিল্পের উত্তরোত্তর উন্নয়ন এবং টেকসই বিকাশের লক্ষ্যে এ নীতি প্রণয়ন করা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, বর্তমানে অটোমোবাইল শিল্প উন্নয়ন নীতি প্রণয়নের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।শিগগিরই এর খসড়া অনুমোদন করে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সাথে পরামর্শক্রমে তা চূড়ান্ত করা হবে। এর মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে আঞ্চলিক অটোমোবাইল শিল্প উৎপাদনের কেন্দ্রে উন্নীত করা হবে। এ লক্ষ্য অর্জনে সরকার অটোমোবাইল শিল্প উন্নয়নে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে।

ইফাদ ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, গত কয়েক বছরে ভারী যানবাহন ক্ষেত্রে দেশে বড় ধরনের পরিবর্তন সাধিত হলেও এসি গাড়ি নির্মাণ শুরু হয়নি। দেশে ভালো মানের এসি বাসের চাহিদা থাকা সত্ত্বেও আমদানি ব্যয়ের কারণে পরিবহন মালিকগণ খুব বেশি গাড়ি রাস্তায় চালাতে পারছিলেন না। আমদানি বাবদ প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হচ্ছে। বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ইফাদ অটোস লিমিটেড এক সাহসী কাজে হাত দিয়েছে। এত দিনে যা ছিলো স্বপ্ন, আজ তা বাস্তবে রূপ নিয়েছে। এখন থেকে এই কারখানায় তৈরি হবে আধুনিক ও বিশ্বমানের এসি এবং নন-এসি বাস।

তিনি বলেন, এতে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের পাশাপাশি দেশে শিল্পায়ন বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। কারখানার অটোসের পক্ষ থেকে বলা হয়, গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের কারণে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে বাংলাদেশে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের ব্যবসার সহযোগী অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানগুলো অর্ধেক মূল্যে বাংলাদেশের তৈরি বিশ্ব মানের এসি বাস আমাদের মালিকদের সহজ কিস্তিতে প্রদান করতে পারব।

তিনি আরও বলেন, চার বছর আগে এই কারখানায় বাস ও ট্রাকের সংযোজন শুরু হয়েছিল। এবার এখানেই তৈরি হবে অত্যাধুনিক এসি, নন-এসি বাস ও ট্রাকের কেবিন। যেহেতু এই কারখানায় বিভিন্ন মডেলের বডি তৈরি করা হবে, তাই উৎপাদন খরচ আমদানিকৃত গাড়ির চেয়ে কম হবে। এর সুবিধা বাসের মালিক ও যাত্রীরা ভোগ করবেন।

 
Electronic Paper