সবজির দামে স্বস্তি
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১০:২৬ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১৬, ২০২১
বাজারে এখন সব ধরনের শীতের সবজি ভরপুর। কোনো কিছুর কমতি নেই। দিন দিন সরবরাহ বাড়ছে। ফলে দাম কমছে। নতুন আলু, পাকা টমেটো ও শিমের সরবরাহ বাড়ায় ২০ টাকা কেজি দরেই বিক্রি হচ্ছে। দাম কমে আসায় কিছুটা স্বস্তি এসেছে। কারণ বেশিরভাগ সবজি এখন ৩০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। এর সঙ্গে পেঁয়াজের দামও ক্রেতাদের স্বস্তি দিচ্ছে।
বিক্রেতারা বলছেন, দিন দিন সবজির সরবরাহ বাড়ছে। সামনে দাম আরও কমবে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এসব বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৫ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত দাম কমে প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকায়, শালগম বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, গাজর ২৫ থেকে ৩০ টাকায়, শিম ২০ টাকায়, বেগুন ২০ টাকায়, করলা ৩০ টাকায়, ঢেঁড়শ ৩০ থেকে ৪০ টাকায়, পাকা টমেটো ৩০ টাকায়, কেজি প্রতি কাঁচা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়, বরবটি ৪০ থেকে ৫০ টাকায়।
প্রতি পিস লাউ আকার ভেদে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ২০ টাকায়, ১০ টাকা কমে বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা, ফুলকপি ১০ টাকার মধ্যে। হালিতে পাঁচ টাকা কমে কাঁচকলা বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকায়, প্রতি কেজি জালি কুমড়া নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি দরে। এ ছাড়া আদা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, রসুনের কেজি ১২০ টাকা।
বাজারে প্রতি কেজি চিনিতে পাঁচ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। প্রতি কেজি আটাশ চাল ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়, পায়জাম ৪৮ থেকে ৫০ টাকায়, মিনিকেট ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়, নাজিরশাইল ৬০ টাকায়, পোলাওয়ের চাল ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা ভোজ্যতেল লিটারে দুই থেকে পাঁচ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১২৭ থেকে ১৩০ টাকায়।
কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সিকদার বলেন, আমরা পাইকারিতে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছি ৩৫ টাকা। বাজারে এখন দেশি পেঁয়াজের অভাব নেই। দেশি পেঁয়াজ এখন কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। এখন ভারতের পেঁয়াজের প্রতি মানুষের আগ্রহ নেই।
রামপুরা বাজারের সবজি ব্যবসায়ী মুসলিম বলেন, নতুন আলু ৫০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি। এখন ৪০ টাকা দিয়ে দুই কেজি আলু পাওয়া যাচ্ছে। এ আলু আগের চেয়ে অনেক বড় এবং মানও ভালো।
মালিবাগের বাসিন্দা রফিকুল আলম বলেন, ফুলকপি ১০ টাকা, বাঁধাকপি ১৫ টাকা, শিম ২০ টাকা, পাকা টমেটো ২০ টাকা কেজিÑ সবজির এমন দাম হবে কিছুদিন আগে ভাবাই যায়নি।