আইপিও আবেদন করলেই শেয়ার
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১০:৫১ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ০১, ২০২১
২০২১ সাল থেকে আইপিওতে যিনিই আবেদন করবেন, তিনিই শেয়ার পাবেন। উঠে যাচ্ছে লটারি পদ্ধতিও। তবে আইপিও আবেদনের আগে প্রত্যেক বিনিয়োগকারীর বাজারমূল্যে ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে তথা সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগ থাকতে হবে। অর্থাৎ আইপিও আবেদন করার আগে একজন বিনিয়োগকারীর সেকেন্ডারি বাজারে ২০ হাজার টাকার বিনিয়োগ থাকতে হবে। আগামী ১ এপ্রিল থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার ২০২০ সালের শেষ দিনে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এক বিজ্ঞপ্তিতে বিএসইসি জানিয়েছে, আইপিওতে বিদ্যমান লটারির পরিবর্তে আনুপাতিক হারে শেয়ার বরাদ্দ দেওয়া হবে। সে ক্ষেত্রে আইপিও আবেদনের ক্ষেত্রে একজন বিনিয়োগকারীকে ন্যূনতম ১০ হাজার টাকা বা তার গুণিতক পরিমাণ অর্থ জমা দিতে হবে। ধরা যাক, একজন বিনিয়োগকারী কোনো একটি কোম্পানির আইপিও শেয়ারের জন্য আবেদন করবেন। প্রথমত, ওই বিনিয়োগকারীর শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে অর্থাৎ সেকেন্ডারি বাজারে ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ থাকতে হবে।
দ্বিতীয়ত, আইপিও আবেদনের জন্য একজন বিনিয়োগকারীকে ন্যূনতম ১০ হাজার টাকা বা তার গুণিতক ২০, ৩০, ৪০ হাজার টাকা করে চাঁদা জমা দিতে হবে। যেহেতু লটারি পদ্ধতি উঠে যাচ্ছে সেহেতু সব আবেদনকারী তার আবেদনের ভিত্তিতে শেয়ার বরাদ্দ পাবেন।
কোনো কোম্পানির আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ১ কোটি শেয়ার বরাদ্দ রয়েছে। সেখানে ১০ লাখ বিনিয়োগকারীর সবাই ১০ হাজার টাকা করে চাঁদা দিয়ে আবেদন করেছেন। তাহলে প্রত্যেক আবেদনকারীকে ওই কোম্পানির ১০টি করে শেয়ার বরাদ্দ দেওয়া হবে।
এ ছাড়া বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে আইপিও অনুমোদন প্রক্রিয়ার সময় কমিয়ে আনতে বিডিং ও প্রসপেক্টাস প্রকাশের আলাদা আলাদা সম্মতিপত্রের পরিবর্তে একসঙ্গে সম্মতিপত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।