সরকারি পাটকল বেসরকারি খাতে
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৯:৩৬ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২৮, ২০২০
অব্যাহত লোকসানের কারণে বন্ধ সরকারি পাটকলগুলো বেসরকারি খাতে দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি খাত এখন থেকে পাটকলের উন্নয়নে কাজ করবে। বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী এ তথ্য জানিয়েছেন। গতকাল তিনি বিষয়টি সামনে আনেন।
এর আগে অব্যবস্থাপনা, রাজনৈতিক দলাদলি, সময়মতো কাঁচাপাট কিনতে ব্যর্থ হওয়া, পাটের গুণগত মান ভালো না হওয়া, বেশি জনবল, সিবিএর দৌরাত্ম্য, পুরনো যন্ত্রপাতি, নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি— এই আটটি কারণে লাভ থেকে দূরে ছিল সরকারি পাটকলগুলো। সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে এ খাতকে উৎসাহ দেওয়া হলেও পাটকলগুলো লাভের মুখ তো দেখেইনি, উল্টো লোকসানের পরিমাণও কমাতে সম্ভব হচ্ছিল না। গত ২৮ জুন এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী পাটকল বন্ধের ঘোষণা দেন। ফলে ২৫টি সরকারি পাটকল বন্ধ হয়ে যায়। এতে সরাসরি ২৪ হাজারের বেশি শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েন। তবে সরকার শ্রমিকদের বকেয়া ও পাওনা কয়েক মাস পর থেকে বুঝিয়ে দেওয়া শুরু করে।
গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টায় টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মন্ত্রী। পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, অব্যাহত লোকসানের কারণে সরকারি পাটকলগুলো বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এই পাটকলগুলো অব্যাহত লোকসান দিচ্ছে। প্রতি বছরই এই পাটকলগুলোকে সরকারের ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। তাই সরকারি পাটকলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গোল্ডেন হ্যান্ডক্যাশ দিয়ে পাটকলগুলো আধুনিকায়ন করে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, করোনাকালীন গার্মেন্ট সেক্টরে ব্যবসায়ীদের অনেক অর্ডার বাতিল হয়েছে। এতে গার্মেন্ট মালিকরা ক্ষতির মধ্যে পড়েছেন। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকার পাঁচ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দিয়েছে। সরকারি প্রণোদনা পেয়ে গার্মেন্ট সেক্টর ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এখন এই সেক্টরের পুরোদমে কাজ চলছে।
তিনি বলেন, গার্মেন্ট ব্যবসার সঙ্গে আরও অনেক ছোট-বড় শিল্প জড়িত। এই সেক্টর ক্ষতির মধ্যে পড়লে ওই সব শিল্পও ক্ষতির মধ্যে পড়ে। তাই করোনার দ্বিতীয় ধাপেও যদি গার্মেন্ট সেক্টরে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তাহলে সরকার পুনরায় তাদের সহযোগিতা করবে। এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সরকার যা যা করণীয় তাই করবে।
এর আগে মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে তিনি বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নিহত সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন। পরে মন্ত্রী গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া এলাকায় নির্মাণাধীন শেখ রেহানা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেন।