সব ব্যাংকে চালু হচ্ছে ট্রেজারি কার্যক্রম
অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
🕐 ৯:২৩ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২০
ট্রেজারি কার্যক্রমের ব্যাংক সংখ্যা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। আগে ট্রেজারি কার্যক্রম সোনালী ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, প্রিমিয়ার ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক ও ট্রাস্ট ব্যাংকের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। এসব ব্যাংকের শাখা যেখানে নেই সে সব এলাকার গ্রাহকরা ভোগান্তি পোহাতেন। এ ভোগান্তি দূর করতে সব ব্যাংকে ট্রেজারি কার্যক্রম চালু হচ্ছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন ধরনের ট্রেজারি চালান ও সরকারি চালান বাংলাদেশ ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে অর্থ জমা দেওয়া যায়। তাই দেশের সব সরকারি-বেসরকারি ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে ট্রেজারি কার্যক্রম চালুর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এটি করা গেলে সরকারি লেনদেন সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন, চালান জমাদানকারীদের সময় ও খরচ কমার পাশাপাশি ব্যাংকের সেবার মান আরও উন্নত হবে।
মন্ত্রণালয় থেকে আরও বলা হয়, সোনালী ব্যাংকের পাশাপাশি অন্যান্য ব্যাংকে ট্রেজারি কার্যক্রম পরিচালনা এবং এ কাজের জন্য নির্দিষ্ট হারে কমিশন প্রদানের জন্য আইনগত বিষয়াদি পর্যালোচনার জন্য ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমানকে সভাপতি করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির সুপারিশের পর অর্থ সচিব আরও দুটি বিষয় সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এগুলো হচ্ছে- সোনালী ব্যাংকের পাশাপাশি অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংককে ট্রেজারি কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি ও ফি প্রদান সংক্রান্ত সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বিদ্যমান ট্রেজারি রুল : ২ (বি) এবং ট্রেজারি রুল : ৪- এর অধীন প্রণীত সাবসিডিয়ারি রুল : ২৭২ সাংঘর্ষিক বিধায় তাসহ উক্ত সিদ্ধান্তের সঙ্গে আরও কোনো রুল সাংঘর্ষিক হলে তা সংশোধন করতে হবে। এ কাজ সম্পন্নে অর্থ বিভাগের প্রবিধি অনুবিভাগকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সেখানে আরও উল্লেখ করা হয়, সব বাণিজ্যিক ব্যাংককে ট্রেজারি কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি এবং ফি প্রদান সংক্রান্ত সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ব্যাংক মনোনীত প্রতিটি ব্যাংকের সঙ্গে পৃথক পৃথক চুক্তি করবে। ট্রেজারি কার্যক্রমের জন্য ব্যাংকগুলোকে প্রদত্ত ফি ক্রমহ্রাসমান হারে নির্ধারণ করতে হবে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য অর্থ বিভাগে পাঠাবে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমান বলেন, বর্তমানে সোনালী ব্যাংকসহ আরও পাঁচটি বেসরকারি ব্যাংক পাসপোর্টের ফি জমা নেয়। আমরা ইতোমধ্যে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের সঙ্গে বৈঠক করেছি। প্রথমে ছয়টি ব্যাংক দিয়ে আমরা পাইলট প্রোগ্রাম শুরু করব। তারপর সব ব্যাংকে তা উন্মুক্ত করে দেব।