বিআইডিএসের গবেষণা
৬২ শতাংশ এমএসএমই প্রতিষ্ঠান ঋণ বঞ্চিত
অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
🕐 ৯:৪৭ পূর্বাহ্ণ, জুন ২৯, ২০২০
যে এসএমই কর্মসংস্থানে ভূমিকা রাখে, শিল্প খাতের ৮৬ শতাংশই কর্মসংস্থান করে থাকে, যার সংখ্যা প্রায় এক কোটি; সেই এসএমই খাতের ৬২ শতাংশ ব্যাংক ঋণ থেকে বঞ্চিত হয়। ব্যাংক ঋণ পায় মাত্র ৩৮ শতাংশ প্রতিষ্ঠান। বিআইডিএসের গবেষণাতেই এমন তথ্য উঠে এসেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত এপ্রিল থেকে ক্রেডিট কার্ড ছাড়া সব ধরনের ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ নির্ধারণ করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ঋণের সুদহার কমার পাশাপাশি কমেছে আমানতের সুদহার। এতে ব্যাংকের আমানতেও টান পড়েছে। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে করোনার ধাক্কা।
এ ধাক্কায় অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বড়, ছোট, মাঝারি সব ধরনের প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও, এসএমই ঋণের পরিচালন খরচ অনেক বেশি। তাই এই ঋণ বিতরণে আগ্রহ নেই ব্যাংকগুলোর। তবে অর্থনৈতিক ক্ষতি কাটাতে এসএমই ঋণ বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই।
সম্প্রতি বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস)-এর এক জরিপে উঠে এসেছে, দেশের এমএসএমই খাতে সব মিলিয়ে ১৩ লাখ ইউনিট রয়েছে। মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির ২৫ শতাংশ আসে এই খাত থেকে। আবার শিল্প খাতের কর্মসংস্থানের ৮৬ শতাংশই এই খাতে, যা সংখ্যায় প্রায় ১ কোটি। এই খাত মাসে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার পণ্য উৎপাদন করে, মজুরি দেয় প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা। তবে এই খাতের মাত্র ৩৮ শতাংশ প্রতিষ্ঠান ব্যাংকঋণ পায়।
এদিকে করোনা মোকাবেলায় ঋণ বিতরণ সহজ করা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নানা রকম প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। যাতে করোনা থেকে উত্তরণে মুখ থুবড়ে পড়া উদ্যোগগুলো আবার উঠে দাঁড়াতে পারে, কর্মসংস্থান হয়।
২২ জুন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পাঠানো বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠিতে বলেছে, প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ বিতরণ কার্যক্রমে আশানুরূপ গতি নেই। তাই তদারকি জোরদার করার আবশ্যকতা দেখা দিয়েছে। এছাড়া এই খাতের ঋণ বাড়াতে ঋণ নিশ্চয়তা কর্মসূচি (ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম) চালুর উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।