ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ফল বাজারে কেজিতে ৩০-৪০ টাকা বেশি

তোফাজ্জল হোসেন
🕐 ৩:৩২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ০৩, ২০২০

চীনে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশসহ বাংলাদেশেও এসেছে করোনা ভাইরাস। শুধু মানবদেহই নয়, ভয়ঙ্কর এ ভাইরাসের ভয়াবহ সংক্রমণ ঘটেছে অর্থনীতিতেও। চলমান পরিস্থিতিতে বিশেষ করে করোনার প্রভাব পড়েছে ফলের বাজারে। ক্রেতাদের অভিযোগ, খুচরা বাজারে ফলের দাম কেজিতে ৩০-৪০ টাকা বেশি গুণতে হচ্ছে। 

ভোক্তারা মনে করেন, এবার করোনা ভাইরাসের প্রভাব ফলের বাজারে পড়ায় ফল কিনতে এসে অনেকটাই হতাশ হতে হচ্ছে। রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও পুষ্টি যোগাতে মৌসুমি ফল বেশ কার্যকর। আর এসময়ে ফলের চাহিদা বেড়েছে। তবে সরবরাহ কম।

শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন ফলের বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাইকারী বাজারে রসালো ফল তরমুজ আকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ২০০ টাকা, বেল আকার ভেদে প্রতি পিস ১০ টাকা থেকে ৫০ টাকা, ১৬৫ টাকার আঙ্গুর এখন ২১০ টাকা, ১০০ টাকার আপেল ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে কমলা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা, ১০৫ টাকার মাল্টা ১২০ টাকা। ১৮০ টাকার আনার ৩২০, পেয়ারা ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, বরই ৪০ থেকে ৫০ টাকা, আনারস প্রতিটি ১৫ থেকে ২২ টাকা। প্রকারভেদে খেজুরের দাম কেজিতে ৪০ থেকে ৬০ টাকা বেড়েছে। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে ১৫৫ টাকার নাশপাতি বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকায়।

এদিকে পাইকারী ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদা মতো ফল আসছে না, দামও বাড়তি। আগে যেখানে দেড় থেকে দুই লাখ টাকার ফল বিক্রি হতো সেখানে এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকার। করোনার কারণে ছুটিতে মানুষ ঢাকা ছেড়ে বাড়ি চলে গেছে। দোকান পাট খুলতে দেওয়া হচ্ছে না। সীমান্ত বন্ধ, বাইরে থেকে মাল আসছে না। আবার গাড়ি ভাড়া বাড়তি। সবকিছু মিলিয়ে ফলের দাম বেশি। আর ক্রেতাও আশানুরূপ নেই।

কারওয়ান বাজারে ফল কিনতে আসা কল্যাণপুরের বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম নামের একজন ক্রেতা গতকাল দৈনিক খোলা কাগজকে বলেন, ফলের দাম বেশি। তবে করোনা ভাইরাসের কারণে পুষ্টির আধার হিসেবে ফলের চাহিদা বাড়ছে। চাহিদা বেশি আবার সরবরাহ কম। এজন্য ফলের বাজারে ফল কিনতে এসে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। আদাবরের স্থায়ী বাসিন্দা হুমায়ুন ইসলামের সাথে কথা হয় আদাবর বাজারে। তিনি বেল কেনার জন্য ফলের দোকানে দরদাম করছেন।

বিক্রেতা জানান, ফলের দাম আগের মতোই আছে। ক্রেতা নেই। কারণ হিসাবে তিনি বলেন, দোকানদাররা করোনা ভাইরাসের কারণে সব গ্রামে গেছে, আর প্রশাসনের নজরদারিতে বাজারে ফলের দোকনে বসা মুসকিল। বিক্রেতা ইউসুফ আলী গতকাল দৈনিক খোলা কাগজকে বলেন, ভাই বিক্রি নেই, ছেলে মেয়ে নিয়ে মহাবিপদে দিনাতিপাত করছি। ক্রেতা একেবারেই নেই বলে জানান তিনি।

 
Electronic Paper