কাটছে না ব্যাংকের ‘প্রভিশন’ ঘাটতি
অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
🕐 ১১:১৬ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২০
দেশে ডিসেম্বর প্রান্তিকে ব্যাংকের ‘প্রভিশন’ ঘাটতি কমেছে এক হাজার ৪৭৪ কোটি টাকা। সদ্য প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিসেম্বর প্রান্তিকের প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে। ‘প্রভিশন’ ঘাটতি কিছুটা কমেছে, তবে সামগ্রিক বিচারে এ ঘাটতি যে হারে কমাতে হবে তা থেকে বেশ দূরেই আছে ব্যাংকগুলো, বিশেষ করে যে ব্যাংকের খেলাপি বেশি, তাদের ঘাটতির পরিমাণও তত বেশি।
২০১৯ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকগুলোতে ঋণের ঝুঁকি বিবেচনায় প্রভিশন সংরক্ষণের প্রয়োজন ছিল ৬১ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা। কিন্তু এর বিপরীতে প্রভিশন রেখেছে ৫৪ হাজার ৬৬২ কোটি টাকা। এতে ঘাটতি দেখা দিয়েছে ৬ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বর প্রান্তিকের তুলনায় ১ হাজার ৪৭৪ কোটি টাকা প্রভিশন ঘাটতি কমেছে ডিসেম্বরে। সেপ্টেম্বর ১৯ প্রান্তিকে প্রভিশন ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৮ হাজার ১২৯ কোটি টাকা এবং ২০১৮ সালের ডিসেম্বর শেষে ছিল ৬ হাজার এক ৬১৫ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ব্যাংকগুলোতে জনগণের আমানত সুরক্ষা দেওয়ার জন্য খেলাপি ঋণের বিপরীতে প্রভিশন রাখার নিয়ম রয়েছে। প্রভিশন রাখার অর্থ হচ্ছে, যে অর্থ খেলাপিদের পকেটে চলে গেল-তার সমপরিমাণ অর্থ ব্যাংক আলাদা হিসেবে রেখেছে। যেসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণ বেশি, তারা ওই নিয়ম মানতে ব্যর্থ হচ্ছে।
এর মধ্যে সোনালী ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি ২ হাজার ১৫৬ কোটি, অগ্রণী ব্যাংকের ১ হাজার ৪৪৩ কোটি, রূপালী ব্যাংকের ৮৭৮ কোটি, এবি ব্যাংকের ৬৭৩ কোটি, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের ৫৩৮ কোটি, ন্যাশনাল ব্যাংকের ৪৮৭ কোটি, ঢাকা ব্যাংকের ৪২৫ কোটি, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্টের ২৭৫ কোটি, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের ২৯৬ কোটি, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ১৬২ কোটি ও ট্রাস্ট ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি ১৬৪ কোটি টাকা।