বৃদ্ধাশ্রমের বাসিন্দাদের সহায়তায় আরএফএল গ্যাস স্টোভ
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ২:১০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০
পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন বৃদ্ধাশ্রমের বাবা-মায়ের মুখে হাসি ফোটাতে মহৎ এক উদ্যোগ নিয়েছে দেশের জনপ্রিয় গ্যাসের চুলার ব্রান্ড আরএফএল গ্যাস স্টোভ। তাদের প্রতিটি বিক্রিত গ্যাস স্টোভ থেকে ১০ টাকা ব্যয় করা হবে বৃদ্ধাশ্রমের মানুষদের কল্যাণে। সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচির (সিএসআর) আওতায় ‘ক্ষুধা না চুলা জ্বলুক’ নামে এই ক্যাম্পেইন শুরু করেছে আরএফএল গ্যাস স্টোভ। প্রাথমিকভাবে ছয়মাসের এই ক্যাম্পেইনের আওতায় প্রতিমাসে পৃথক বৃদ্ধাশ্রমে এই টাকা দেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বাড্ডায় প্রিমিয়ার প্লাজায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ক্যাম্পেইন চালুর ঘোষণা দেন আরএফএল গ্যাস স্টোভের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা তাকবির রহমান।
তিনি বলেন, আমাদের ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ পেয়েছি আরএফএল গ্যাস স্টোভ ব্যবহারে ২৫ শতাংশ গ্যাস সাশ্রয় হচ্ছে। প্রাকৃতিক সম্পদের সদ্ব্যবহারের বিষয়টি চিন্তা করে দেশব্যাপী আমাদের গ্যাস স্টোভ সরবরাহ করে আসছি।
তাকবির রহমান বলেন, আরএফএল গ্যাস স্টোভের স্লোগান হচ্ছে পরিবারের একজন, চিরদিনের বন্ধন। বাবা মা পরিবারের অবিচ্ছেদ্য অংশ। যারা এক সময় শত প্রতিকূলতার মাঝেও পরিবারকে আগলে রাখত, এখন বন্ধন ছিন্ন করে সন্তানেরা পিতা মাতাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসে। আমরা চাই বৃদ্ধ পিতামাতার স্থান হোক পরিবার, বৃদ্ধাশ্রম নয়।
তিনি বলেন, দেশে নিজস্ব ফ্যাক্টরিতে আরএফএল গ্যাস স্টোভ তৈরি করা হচ্ছে। এ স্টোভ তৈরিতে নিরাপত্তার বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে আরএফএল গ্রুপের পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, বৃদ্ধ বয়সে মানুষের সেবা ও সহযোগিতা প্রয়োজন। কিন্তু পরিবারের অবহেলাসহ নানা কারণে তাদের স্থান হয় বৃদ্ধাশ্রম। পরিবারহীন এইসব নিঃসঙ্গ মানুষের পাশে দাড়ানো একটি বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী হিসেবে আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করাই আমাদের মুল লক্ষ্য।
তিনি বলেন, আরএফএল সমাজের সব শ্রেণি পেশার মানুষের কাছে সাশ্রয়ী দামে গুণগত পণ্য পৌঁছে দিচ্ছে। ভোক্তার ইতিবাচক সাড়া আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সহায়তা করছে। সুতরাং সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচির আওতায় ‘ক্ষুদা না চুলা জ্বলুক’ ক্যাম্পেইন হাতে নিয়েছি।
মনিরুজ্জামান বলেন, আরএফএল দেশের সব ধরনের পেশাজীবী মানুষের জন্য পণ্য তৈরি করছে। শুধু ব্যবসা বা মুনাফা অর্জনই উদ্দেশ্য নয়, সমাজে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে থাকতে চায় আরএফএল। এ উদ্দেশে সব ধরনের মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদন এবং তা ন্যায্যমূল্যে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে দেশের ১৬ কোটি মানুষের এই কোম্পানি।
তিনি বলেন, আগে একটি ম্যাচের কাঠির জন্য দীর্ঘসময় গ্যাসের চুলা জালিয়ে রাখার ফলে অনেক দুর্ঘটনা ঘটত। আরএফএলে অটো গ্যাস স্টোভ আসার পরে এসব দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে এসেছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মনিরুজ্জামান বলেন, দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশের বাজারেও আরেএফএল গ্যাস স্টোভের চাহিদা বেড়েছে। বর্তমানে প্রতিবেশি দেশ ভারতে এই চুলা রপ্তানি করা হচ্ছে। নেপাল ও শ্রীলঙ্কায় রপ্তানির বিষয়টি পাইপলাইনে রয়েছে। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের বাজার ধরতে কুয়েত ও সৌদি আরবে এই গ্যাস স্টোভ রপ্তানির লক্ষ্য রয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আরএফএল গ্যাস স্টোভের মহাব্যবস্থাপক (মার্কেটিং) চৌধুরী ফজলে আকবার, সিনিয়র ব্র্যান্ড ম্যানেজার মো. নাজমুল হক, আরএফএল গ্রুপের অ্যাসিসটেন্ট জেনারেল ম্যানেজার জিয়াউল হকসহ কোম্পানির উর্ধ্বতন কমকর্তারা।