দক্ষতা ও নীতি সহায়তার অভাবে পিছিয়ে বাংলাদেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৯:৫৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৩, ২০২০
দেশের অভ্যন্তরে ফার্নিচারের বাজার ২৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। তবে রফতানি বাজারে বাংলাদেশের উপস্থিতি এখনো সীমিত। ফার্নিচারের বৈশ্বিক বাজার এখন প্রায় ৪৮ হাজার কোটি ডলারের। গত অর্থবছরে দেশের রফতানি ছিল মাত্র সাড়ে ৭ কোটি ডলার বা প্রায় সাড়ে ৬০০ কোটি টাকা। বৈশ্বিক বাজারে দেশের ফার্নিচার খাতের প্রবেশের প্রধান বাধা দক্ষতার ঘাটতি।
এছাড়া কর, ভ্যাট, অর্থায়ন ও নীতি সহায়তারও অভাব রয়েছে। এসব বাধা দূর করতে পারলে বৈশ্বিক বাজারে সহজেই বড় অংশ দখলে নিতে পারবে বাংলাদেশ।
ফার্নিচার খাত নিয়ে এসএমই ফাউন্ডেশনের সহায়তায় পরিচালিত এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণাটি পরিচালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের শিক্ষকরা। গবেষক হিসেবে ছিলেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীয়ত উল্লাহ, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. ইসমাইল হোসাইন, ড. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ এবং ড. গাজী মোহাম্মদ হাসান জামিল।
গত বধবার রাজধানীর এসএমই ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে গবেষণা প্রবন্ধটি উপস্থাপন করা হয়। সভায় এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম শাহীন আনোয়ার।
গবেষণায় উঠে এসেছে বিশ্বে ৪৮ হাজার ৭০ কোটি ডলারের ফার্নিচারের বাজারের ৩১ দশমিক ৭ ভাগই চীনের দখলে। ২০২৫ সাল নাগাদ বিশ্বে ফার্নিচার খাতের বাজার হতে পারে ৬৫ হাজার ৪৬০ কোটি ডলারের। গত অর্থবছরে মাত্র ৭ কোটি ৪৭ লাখ ডলারের ফার্নিচার রফতানি করেছে বাংলাদেশ, যা মোট রফতানির শূন্য দশমিক ১৮ ভাগ।
তবে ইতিবাচক দিক হলো, গত অর্থবছরে দেশের মোট রফতানি ১০ দশমিক ৫৫ ভাগ বাড়লেও ফার্নিচার রফতানি বেড়েছে ১৮ দশমিক ৫২ ভাগ। আর ২০২২ সালে দেশের ফার্নিচার রফতানি ১০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন গবেষকরা।