রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদার
মোবাইল ফোন বন্ধ হচ্ছে প্রকল্প এলাকায়
জাফর আহমদ
🕐 ১০:৩০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৮, ২০২০
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকা ‘নিউক্লিয়ার আইল্যান্ডে’ মোবাইল ফোন বন্ধ করা হচ্ছে। পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভৌত নিরাপত্তা ও সুরক্ষা বিষয়টি খুবই সংবেদনশীল ও গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভৌত সুরক্ষা ব্যবস্থা (পিপিএস) নির্মাণের স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে স্টিয়ারিং কমিটির সভাপতি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব আনোয়ার হোসেন খোলা কাগজকে বলেন, অন্যান্য অফিস বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে যেমন কিছু নিয়মকানুন থাকে, কিছু নির্দেশনা থাকে। প্রকল্পের মধ্যে মোবাইল ফোন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তও সে রকম। শুধু প্রকল্পের ভিতরে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে, প্রকল্পের বাইরে এর কোনো কার্যকারিতা থাকবে না বা তাদের মোবাইল ফোন ব্যবহারেও এ সিদ্ধান্ত কোনো প্রভাব ফেলবে না।
২ জানুয়ারি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকের অন্য একটি সূত্র জানায়, পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পটি খুবই গুরুত্ব হওয়ার কারণে সরকার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা বলয় তৈরিতে যা যা প্রয়োজন সরকার সে ধরনের ব্যবস্থা নেবে। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) গাইড লাইন অনুসরণ করছে।
এ ক্ষেত্রে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র সফলভাবে পরিচালনার জন্য ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কিন্দ্র নির্মাণ’, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পারমাণবিক নিরাপত্তা তদারকীকরণের জন্য বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের নিউক্লিয়ার রেগুলেটরি ইনফ্রাস্ট্রাকচার উন্নয়ন’ এবং ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভৌত সুরক্ষা ব্যবস্থা নির্মাণ’ প্রকল্প তিনটি একসঙ্গে কাজ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
জানা গেছে, প্রকল্প এলাকার ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নে ৩ হাজার ৪৪৯ কোটি ৫ লাখ ২৭ হাজার টাকা ব্যয়ে কাজ শুরু হচ্ছে। যা নভেম্বর মাসের একনেকে অনুমোদন হয়। এ ব্যয়ের মধ্যে চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের এডিবিতে ২২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কাজটি শেষ হবে ২০২৩ সালে। কাজটি করছে রাশিয়ান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
ভৌত অবকাঠামোর মধ্যে নিরাপত্তা ও ভৌত সুরক্ষা ব্যবস্থা সংক্রান্ত পূর্ত কাজ সম্পাদন এবং পিপিএস নিশ্চিত করার জন্য প্রকৌশল ও পিপিএস সরঞ্জামাদি আমদানি এবং স্থাপন, প্রকল্প এলাকায় টহল সড়ক নির্মাণ, টহল যান ক্রয়, বেতন ভাতা, দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণের জন্য সফর ইত্যাদি কাজে পুরো অর্থ ক্রয় হবে। পিপিএসের স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচিত হয়।