ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বৈধপথে স্বর্ণ আমদানি

লাইসেন্স পাচ্ছে ১৮ প্রতিষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১০:১৫ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ০১, ২০১৯

বৈধপথে স্বর্ণ আমদানি করতে একটি ব্যাংকসহ ১৮ প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দুই বছরের জন্য এ লাইসেন্স দেওয়া হবে। এ সময় প্রতিষ্ঠানগুলোর আমদানি কার্যক্রম সন্তোষজনক হলে পরবর্তীতে লাইসেন্স নবায়ন করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে অবৈধ পথে স্বর্ণ আমদানি ঠেকাতে নীতিমালা করে সরকার। সেই নীতিমালা বাস্তবায়নে চলতি বছরের ১৯ মার্চ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্বর্ণের ডিলার নিয়োগের আবেদন করার সুযোগ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ সময় মাত্র ৪৭টি প্রতিষ্ঠান আবেদন করে। এর মধ্য থেকে যাচাই-বাছাই করে চতুর্থ প্রজন্মের মধুমতি ব্যাংকসহ ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড, আমিন জুয়েলার্স, ভেনাস জুয়েলার্স ও শারমিন জুয়েলার্সসহ ১৮ প্রতিষ্ঠানকে স্বর্ণ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, ৪৭টি প্রতিষ্ঠান স্বর্ণ আমদানির অনুমতির জন্য আবেদন করেছিল। যাচাই-বাছাই করে প্রথমে ১৮টি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে। পরে প্রয়োজন হলে আরও লাইসেন্স দেওয়া হবে। ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের স্বর্ণ আমদানির লাইসেন্সে পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগারওয়ালা জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংক আমাদের ডিলারশিপ দেবে বলে চিঠি দিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেশে ছোট-বড় সব মিলিয়ে এক লাখ ২৮ হাজার স্বর্ণ ব্যবসায়ী আছে। এর মধ্যে বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যভুক্ত ব্যবসায়ী ৩২ হাজার। দেশে বছরে গড়ে ২০-৪০ টন স্বর্ণের চাহিদা রয়েছে। এতদিন কোনো নীতিমালা না থাকায় ৯০ শতাংশ অবৈধ পন্থায় এসব স্বর্ণ আসত। এর ফলে বৈধপথে দেশে স্বর্ণ না আসায় একদিকে যেমন সরকার রাজস্ব হারায়; অপরদিকে পাচার হয়ে যায় দেশের কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা।

বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সরকার স্বর্ণ আমদানি উন্মুক্ত করার জন্য স্বর্ণ নীতিমালার ওপর একটি গেজেট প্রকাশ করে। গত বছর ২৯ অক্টোবর এ নীতিমালা জারি করার পর কীভাবে স্বর্ণ আমদানি করা হবে, কারা আমদানি করবে-এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের ওপর দেওয়া হয়।

জানা গেছে, স্বর্ণ আমদানির নীতিমালা অনুযায়ী প্রতি ভরি স্বর্ণ আমদানিতে সরকারকে দুই হাজার টাকা শুল্ক দিতে হবে। তবে এ শুল্কের পরিমাণ কমিয়ে এক হাজার টাকা করার দাবি জানিয়েছে স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা।

 
Electronic Paper