ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বৈদেশিক ঋণ গ্রহণে সতর্ক হতে হবে

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
🕐 ১০:২৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২০, ২০১৯

বিদেশি ঋণ সতর্কতার সঙ্গে গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। গবেষণা সংস্থাটি মনে করে, বিদেশি অর্থায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন অনুদান ও ঋণ দুই-ই নিচ্ছে। বাংলাদেশ অনুন্নত দেশ থেকে উন্নয়ন দেশের পথে যাত্রা শুরু করার প্রেক্ষাপটে বিদেশি ঋণ গ্রহণের সুযোগ তৈরি হয়েছে। একই সময়ে অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণের হারও বেড়েছে।

 

এ ক্ষেত্রে বিদেশি ঋণ গ্রহণ ও ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে। গতকাল বুধবার পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সিপিডি আয়োজিত ‘আনটার্ড’-এর স্বল্পোন্নত দেশ সমূহের ২০১৯ সালের প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে ‘দ্য প্রেসেন্ট অ্যান্ড ফিউচার অব এক্সটার্নাল ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স-ওল্ড ডিপেন্ডেন্স, নিউ চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সংলাপে প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এ কথা বলেন। সংলাপে সভাপতিত্ব করেন সিপিডির সভাপতি ড. ফাহমিদা খাতুন। প্রতিবেদন উপস্থাপনা করেন ড. তৌফিকুল ইসলাম খান।

ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার প্রাক্কালে অনুদানের পরিবর্তে উচ্চ সুদের ঋণ নেওয়ার প্রণবতা বেড়েছে। ২০২৪ সালের পর এ হার আরও বাড়বে। গত কয়েক বছর বাংলাদেশে দুধরনের অর্থায়ন নিয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। কিন্তু আগামীতে এ ধরনের অর্থায়নের ক্ষেত্রে সতর্ক না হলে বাংলাদেশকে ঝুঁকিতে পড়তে হতে পারে। অতীতে বাংলাদেশের মতো অর্থনৈতিক অবস্থায় এসে বিদেশে ঋণ নিয়ে সতর্ক না হওয়ার কারণে বিপদে পড়েছে।

বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে অবকাঠামো খাতে চাইলেই দাতা দেশ ও সংস্থাগুলো ঋণ দিচ্ছে। এসব খাতে ঋণ নিয়ে অবকাঠামো নির্র্মাণের পর নির্মাণ ব্যয় উঠে আসে। কিন্তু শিক্ষা স্বাস্থ্যের মতো সেবা খাতের ঋণের ক্ষেত্রে বর্তমানে যেমন সমস্যা হচ্ছে, আগামীতেও সমস্যা হবে।

এজন্য অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহের পাশাপাশি বৈদেশিক খাত থেকেও শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাতের মতো সেবা খাতের ঋণ পাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে বাজার সুবিধা বিকল্প চিন্তা করার ব্যাপারে প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দেন এই অর্থনীতিবিদ।

 
Electronic Paper