পতন পিছু ছাড়ছে না শেয়ারবাজারে
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১০:২৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ০৪, ২০১৯
টানা দরপতনের পর গত রোববার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্যসূচক কিছুটা বাড়লেও তা স্থায়ী হয়নি। তবে গতকাল সোমবার আবার উভয় বাজারে বড় দরপতন হয়েছে। সেই সঙ্গে দেখা দিয়েছে লেনদেন খরা। অব্যাহত দরপতনের কবলে কয়েক মাস ধরেই পুঁজি হারাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। পতনের কবলে পড়া দিশেহারা বিনিয়োগকারীরা এর আগে একাধিকবার রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। এমনকি প্রতীকী গণঅনশনও করেছেন। তারা প্রশ্ন তুলেছেন, ‘কবে বদলাবে শেয়ারবাজারের এই চিত্র? কবে বন্ধ হবে শেয়ারবাজারের দরপতন?
এদিকে বিনিয়োগকারীদের আন্দোলন থামাতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও শেয়ারবাজারের পতন বন্ধ হয়নি। উল্টো গত অক্টোবরে পতনের ধারা বেড়েছে। ফলে বিনিয়োগকারীরা মামলার ভয় উপেক্ষা করে ডিএসইর সামনে বিক্ষোভ করেছেন। এমনকি সংবাদ সম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এরপরও পতনের ধারা বন্ধ হচ্ছে না শেয়ারবাজারে।
গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে চার কার্যদিবসই দরপতন হয়। এ পরিস্থিতিতে চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস অর্থাৎ গত রোববার শেয়ারবাজারে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে। কিন্তু গতকাল দিনের শুরুতেই পাল্টে যায় সেই চিত্র। লেনদেনের শুরু থেকেই একের পর এক প্রতিষ্ঠানের দরপতন হতে থাকে। শেষ সময় এসে পতনের প্রবণতা আরও বাড়ে। ডিএসইর সবক’টি মূল্য সূচকের পতন হয়।
এদিন ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রায় ৭০ ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দরপতন হয়। দিনভর বাজারটিতে অংশ নেওয়া ৭৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৪২টির। আর ৩৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এদিকে ডিএসইতে লেনদেন খরা অব্যাহত রয়েছে। বাজারটির লেনদেন আবারও ২০০ কোটি টাকার ঘরে নেমে এসেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৬৯ কোটি ৩ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩২৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ৫৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।
ডিএসইতে টাকার পরিমাণে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ন্যাশনাল টিউবসের শেয়ার। কোম্পানিটির ১২ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ৯৫ লাখ টাকার। ৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে নর্দান জুট মেনুফ্যাকচারিং। এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক, ভিএফএস থ্রেড ডাইং, স্টাইল ক্রাফট, ফরচুন সুজ, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স, প্রিমিয়ার ব্যাংক এবং খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড।
অন্যদিকে দ্বিতীয় বৃহৎ শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ১১ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৬৩ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৩টির, কমেছে ১৬০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০টির।