কমেছে গ্রামীণফোনের মুনাফা
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১২:০৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২২, ২০১৯
চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে দেশের শীর্ষ টেলিযোগাযোগ গ্রামীণফোনের মুনাফা আগের বছর একই সময়ের তুলনায় প্রায় ১৪ শতাংশ কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে এ সম্পর্কিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। গতকাল সোমবার প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, ২০১৯ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ৩৮ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে গ্রামীণফোনের ইপিএস ছিল ৬ টাকা ২৫ পয়সা। গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে সরকারের নানামুখী নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থার কারণে মুনাফা কমছে।
চলতি বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরে কোম্পানিটির কর পূর্ববর্তী মুনাফা ছিল ১ হাজার ৬৯৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ হাজার ৪৮৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। গত বছর যেখানে তিন মাসে আয়কর বাবদ ব্যয় ছিল ৬৪০ কোটি ৪ লাখ টাকা, সেখানে এ প্রান্তিকে ব্যয় হয়েছে ৯৭০ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। সে হিসাবে আয়কর বাবদ ব্যয় বেড়েছে ৩৩০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
এ তিন মাসে কোম্পানির নিট মুনাফা হয়েছে ৭২৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৮৪৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা। তৃতীয় প্রান্তিকে গ্রামীণফোন নেটওয়ার্ক কভারেজের জন্য ২১০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করলেও এনওসি বন্ধের কারণে তা পরিকল্পনার চেয়ে কম বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটির ইন্টারনেট গ্রাহক বৃদ্ধি পেয়েছে ৯ লাখ। এখন প্রতিষ্ঠানটির ৫৩ দশমিক ৭ শতাংশ গ্রাহক ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করছে। নেটওয়ার্ক আধুনিকায়নের জন্য প্রতিষ্ঠানটি ১ হাজার ৮১২টি নতুন ফোরজি সাইট চালু করেছে। যার ফলে মোট সাইটের সংখ্যা এখন ১৬ হাজার ৩৮৯টি। কর, ভ্যাট, ফিস, ফোরজি লাইসেন্স এবং তরঙ্গ বরাদ্দের ফি বাবদ গ্রামীণফোন ৯ মাসে মোট ৬ হাজার ১৪০ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে, যা প্রতিষ্ঠানটির মোট আয়ের ৫৭ শতাংশ।
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির সিইও মাইকেল প্যাট্রিক ফোলি বলেন, প্রতিকূল নিয়ন্ত্রকমূলক পরিবেশ থাকা সত্ত্বেও আমরা তৃতীয় প্রান্তিকে শক্তিশালী ব্যবসায়িক ফলাফল অর্জন করেছি। নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন বা এনওসি প্রদান বন্ধের কারণে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও গ্রামীণফোন দেশের ৯৯ দশমিক ৫ শতাংশ গ্রাহককে তার নেটওয়ার্কে আওতায় মোবাইল সেবা প্রদান করছে।
৬৯ শতাংশ জনগোষ্ঠী আমাদের ফোরজি নেটওয়ার্কের আওতায় রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভয়েস সেবা থেকে আমাদের প্রাপ্ত আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এর পাশাপাশি ইন্টারনেট সেবা ব্যবহারসহ ইন্টারনেট ভিত্তিক আয় বৃদ্ধিও পরিলক্ষিত হচ্ছে। আমাদের গ্রাহক সংখ্যার ৫৩ দশমিক বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী।