ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বিনিয়োগকারীরা বাকরুদ্ধ

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
🕐 ১১:১৫ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১১, ২০১৯

দরপতন আর লেনদেন খরা থেকে বের হতে পারছে না শেয়ারবাজার। এতে পুঁজি হারাচ্ছেন লাখ লাখ বিনিয়োগকারী। দিশেহারা বিনিয়োগকারীদের আর্তনাদ বেড়েই চলছে। পতনের ধকলে অনেকটা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা। বিনিয়োগকারীরা পুঁজি হারানোর ব্যথা যেমন সইতে পারছেন না, তেমনি কষ্টের কথা মন খুলে কাউকে বলতেও পারছেন না। শেয়ারবাজারে গতি ফেরাতে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক বেশকিছু ছাড় দিলেও ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে না। উল্টো পতনের বাজারে লেনদেন খরা নতুন মাত্রা পেয়েছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, আগের কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় গতকাল বৃহস্পতিবারও ঢাকা (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। এর মাধ্যমে চলতি সপ্তাহে লেনদেন হওয়া চার কার্যদিবসেই দরপতন হলো।

টানা দরপতন হলেও শেয়ারবাজারে গতি ফেরাতে সম্প্রতি বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ বাড়ানোর সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। তারল্য বাড়াতে রেপোর মাধ্যমে অর্থ সরবরাহের সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু শেয়ারবাজারে এর কোনো ইতিবাচক প্রভাব দেখা যাচ্ছে না। উল্টো বেড়েছে তারল্য সংকটের মাত্রা।

চলতি মাসে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া সাত কার্যদিবসেই লেনদেনের পরিমাণ তিনশ কোটি টাকার ঘরে আটকে রয়েছে। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩২৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩২০ কোটি ৯১ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ছয় কোটি ৯০ লাখ টাকা।

লেনদেন খরার সঙ্গে ডিএসইতে অংশ নেওয়া সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দরপতন হয়েছে। বাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৯ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার বিপরীতে দরপতন হয়েছে ২৭১টির। ২৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৫২ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৮১০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ ১২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১১১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ২০ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৭০৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

বিনিয়োগকারী ইব্রাহিম হোসেন বলেন, যেভাবে শেয়ারবাজারে দরপতন হচ্ছে, তাতে আমরা বাকরুদ্ধ। আমাদের প্রতিবাদ করার ভাষা নেই। সবকিছু চুপচাপ মুখ বুজে সহ্য করতে হচ্ছে। আর প্রতিদিন বিনিয়োগ করা পুঁজি হারাতে হবে। এটাই এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে।

পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজানুর রশীদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বর্তমান চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের আইনে আওতায় আনতে হবে। সেই সঙ্গে তারা যেসব কোম্পানির প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) অনুমোদন করেছেন, সে কোম্পানিগুলোর শেয়ার বাইব্যাক করতে হবে। এসব পদক্ষেপ না নেওয়া পর্যন্ত শেয়ারবাজর ভালো হবে না।

 
Electronic Paper