ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ব্যাংকিং খাতে প্রয়োজন ডিজিটাইজেশন নীতি

বিআইবিএমের গবেষণা

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
🕐 ৯:৫৯ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১১, ২০১৯

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) গবেষণায় বলা হয়েছে, ব্যাংকিং খাতের ডিজিটাইজেশনে সহায়ক নীতি ও পরিবেশ প্রয়োজন। সরকার এবং বাংলাদেশ ব্যাংক খাতের ডিজিটাইজেশনে বিভিন্ন ধরনের নীতি সহায়তা দিচ্ছে। কিন্তু এ-সংক্রান্ত সহায়ক নির্দিষ্ট নির্দেশনা এবং বিধিমালা প্রয়োজন। ডিজিটাল স্বাক্ষর এবং ই-স্বাক্ষর এখনও ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য হয়নি; যা ডিজিটাইজেশনে বড় বাধা।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে উপস্থাপিত ‘ডিজিটাইজেশন অব ডকুমেন্টস ইন ব্যাংকিং অপারেশন’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়। কর্মশালার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এবং বিআইবিএমের মহাপরিচালক মহা. নাজিমুদ্দিন।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা। আরও উপস্থিত ছিলেন পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল আহমদ চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ইয়াছিন আলি, এনআরবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেহমুদ হোসেন প্রমুখ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এবং বিআইবিএম-এর মহাপরিচালক মহা. নাজিমুদ্দিন বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পরিকল্পনা নিয়েছে। এ লক্ষ্য অর্জনে ব্যাংকিং খাতের ডকুমেন্টস ডিজিটালাইজেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি ব্যাংকিং খাতে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার ওপর জোরারোপ করেন।

পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল আহমদ চৌধুরী বলেন, ব্যাংক পরিচালনায় আইটি ক্ষেত্রে ভেণ্ডরদের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে। ব্যাংকগুলোকে নিজস্ব সক্ষমতা বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা অর্জন, ব্যয় কমানো, দক্ষ সেবা প্রদান, দ্রুত সেবা প্রদান, সুষ্ঠু সমন্বয়, আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে ব্যাংকিং খাতের ডিজিটাইজেশন প্রয়োজন।

ইয়াছিন আলি বলেন, ডিজিটাইজেশনে কিছু ব্যাংক ভালো করছে আবার কিছু ব্যাংক পিছিয়ে পড়ছে। তিনি বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যাংকিং খাতের ডিজিটাইজেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

এনআরবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহমুদ হোসেন বলেন, ব্যাংকিং খাতে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে সামান্য বিনিয়োগ এবং ইচ্ছা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নিজস্ব সক্ষমতা গড়ে না উঠলে ভে-রের সহযোগিতা নেওয়া যেতে পারে।

অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা বলেন, একদিনে ব্যাংকিং খাতকে পেপারলেস করা সম্ভব নয়। তবে উদ্যোগ নিলে অদূর ভবিষ্যতে তা বাস্তবায়ন হবে।

কর্মশালায় মূল গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. শাহ মো. আহসান হাবীব। গবেষণা দলে আরও ছিলেন, বিআইবিএম-এর অধ্যাপক মো. নেহাল আহমেদ, প্রভাষক ফয়সাল হাসান, বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক আনিসুর রহমান, ঢাকা ব্যাংকের অপারেশনস বিভাগের প্রধান সৈয়দ সাজ্জাদ হায়দার চৌধুরী ও মিউচুয়্যাল ট্রাস্ট ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট এ টি এম নেসারুল হক। গবেষণাপত্রে ব্যাংক খাতে কাগজের বহুল ব্যবহারের ফলে পরিবেশের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।

 
Electronic Paper