গ্রামীণফোন-রবির পাওনা আলোচনায় নিষ্পত্তি
অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
🕐 ৯:৫০ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, গ্রামীণফোন ও রবির কাছে সরকারের রাজস্ব ও বিটিআরসির পাওনার বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হবে। পাওনার বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। তবে এই পাওনা আদায়ের বিষয়টি আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই নিষ্পত্তি করা হবে। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যেই একটি সুন্দর সমাধান হবে।
বুধবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ডাক ও টেলি-যোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, এনবিআরের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল ফোলি এবং রবির সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ।
অর্থমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ ও রবি গত ২২ বছর ধরে নিয়মিতভাবে ভ্যাট, ট্যাক্স ও বিটিআরসির পাওনা পরিশোধ করে আসছিল। এরমধ্যে, বিভিন্নভাবে গ্রামীণের কাছে চার থেকে সাড়ে চার হাজার ও রবির কাছে আটশ’ থেকে সাড়ে আটশ’ কোটি টাকার দাবি আছে। এ দুটি অপারেটরের কাছে আবার বিটিআরসির পাওনা সুদসহ আট হাজার কোটি টাকা।
তিনি বলেন, রাজস্ব বাবদ গ্রামীণের কাছে যে চার হাজার কোটি টাকা পাওনা, তা এডিআরের মাধ্যমে নিষ্পত্তির অপেক্ষা আছে। আর বিটিআরসির যে পাওনা, তা আলোচনার ভিত্তিতে নিষ্পত্তি হবে। আমরা মনে করেছি, আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আসা উচিত।
অর্থমন্ত্রী বলেন, কিছু ভুল বোঝাবুঝির কারণে দুই অপারেটরের সঙ্গে সরকারের সম্পর্কের অবনতি ঘটতে যাচ্ছিল। এ অবস্থা চলমান থাকলে আমাদের ক্ষতি হতো, আমরা রাজস্ব হারাতাম। তারা ব্যবসা করবে, আমরা নিজেদের পাওনা বুঝে নেব। তারা (দুই অপারেটর) যে মামলা করেছে, সে মামলা তারা প্রত্যাহার করে নেবে। অপরদিকে সরকারের তরফ থেকে যে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করা হবে। অর্থমন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে আমরা যে সিদ্ধান্ত নেব, তা কখনোই দেশের স্বার্থের বিপক্ষে যাবে না।
ডাক ও টেলি-যোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, গতকাল থেকে দৃশ্যপট বদলে গেছে, বিটিআরসির সঙ্গে দেনা-পাওনার বিরোধ আমরা খুব অল্প সময়ের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে মিটিয়ে নেবো। মোবাইল কোম্পানিগুলো জাতীয় অর্থনীতিতে এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিশাল ভূমিকা রাখছে। গত ২২ বছরে এ দুটি অপারেটরের সঙ্গে এই পাওনা ছাড়া আর কোনো বিষয় নিয়ে বিরোধ হয়নি। আমরা ব্যবসার সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করতে চাই, তবে জাতীয় স্বার্থ উপেক্ষিত হতে পারে না। পারস্পরিক আলোচনার মধ্য দিয়ে আমরা বিষয়টি নিশ্চিত করব।