সৈয়দপুরে শিং ও হাড় থেকে তৈরি বোতাম
রপ্তানি হচ্ছে বিদেশেও
মোশাররফ হোসেন, নীলফামারী
🕐 ১০:২৯ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৯
নীলফামারীর সৈয়দপুরে গরু-মহিষের শিং ও হাড় থেকে তৈরি হচ্ছে উন্নতমানের বোতাম। নজরকাড়া ডিজাইন ও নকশার এসব বোতাম, চিরুনি ও শো-পিস তৈরি করে রপ্তানি করা হচ্ছে চীন, অস্ট্রেলিয়া, হংকং, জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশে।
গরু-মহিষের শিং ও হাড় প্রক্রিয়া করে বোতাম তৈরির এগ্রো রিসোর্স লিমিটেড নামের কোম্পানিটি সৈয়দপুর শহরের কুন্দল নামক স্থানে প্রতিষ্ঠিত। ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও সে সময়ে গরু-মহিষের শিং ও হাড় গুঁড়া করে সার উৎপাদন করেছিল। পরে নামে বোতাম তৈরির কাজে।
ওই কারখানায় গিয়ে দেখা যায়, গরু-মহিষের শিং ও হাড় প্রক্রিয়া করে বিভিন্ন আকারের উন্নতমানের বোতাম তৈরি করতে। আর এ বোতাম শার্ট, প্যান্ট, কোর্ট, সাফারিসহ বিভিন্ন পোশাকে ব্যবহার উপযোগী। সেই সঙ্গে গরু-মহিষের শিং ও হাড় থেকে তৈরি করা হচ্ছে বাহারি নকশার চিরুনি ও শো-পিস। বর্তমানে কোম্পানিটির দুটি কারখানায় সহ¯্রাধিক নারী ও পুরুষ শ্রমিক কাজ করছেন।
প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম জানান, আগে গ্রামগঞ্জে ও শহরের গরু-মহিষ জবাইয়ের পর শিং ও হাড় ফেলে দেওয়া হতো। সেটি অপচয় ছিল। এখন ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে সেসব শিং ও হাড় সংগ্রহ করে তা থেকে বোতাম, চিরুনি তৈরি করে বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে।
তিনি জানান, বর্তমানে বিপুল পরিমাণ টাকার বোতাম চীন, অস্ট্রেলিয়া, হংকং, জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। দিন দিন চাহিদা বাড়ায় আরও দুটি কারখানা স্থাপনের কাজ প্রায় শেষের দিকে।
তিনি বলেন, গরু-মহিষের শিং ও হাড় অবৈধভাবে পাচার হওয়ার কারণে কারখানাটি কাঁচামাল সংকটের সম্মুখীন হচ্ছে। একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী দেশ থেকে অবৈধভাবে গরু-মহিষের শিং ও হাড় পাচার করছে। আর পাচার হওয়ার শিং ও হাড়ের মূল্য লেনদেন হচ্ছে অবৈধ হুন্ডির মাধ্যমে। সেটি রোধ করে এসব শিং ও হাড় থেকে বোতাম, চিরুনি ও বিভিন্ন শো-পিস তৈরি করে বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর আয় করা সম্ভব। এতে করে দেশের মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, সরকারের রাজস্ব বাড়বে।