দীর্ঘ ১২ বছর পর নতুন ভবনে যাচ্ছে ডিএসই
অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
🕐 ৮:৪০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩০, ২০১৯
অবশেষে নিজস্ব ভবনে যাচ্ছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার ১২ বছর পর রাজধানীর নিকুঞ্জের নতুন ভবনটিতে ডিএসই তাদের কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। আগামী অক্টোবর মাসে নতুন ভবনে কার্যক্রম শুরু হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। সূত্র মতে, ডিএসই তাদের নতুন ভবনে আগমী অক্টোবরের ৩১ তারিখে যাওয়ার বিষয়ে একটি ৬ সদ্যসের কমিটি গঠন করেছে।
কমিটি নতুন ভবনে যাওয়ার বিষয়ে পরিকল্পনা তৈরি করবে এবং তা বাস্তবায়নের ব্যবস্থা করবে। কমিটি আগামী ৭ কার্যদিবসে তাদের কাজের পরিকল্পনা ডিএসইর জিএমের (এইচআর এবং এডমিন) কাছে জমা দেবে। কমিটি তাদের প্রয়োজনে অন্য অফিসারদের সহযোগিতা নিতে পারবে।
এ বিষয়ে ডিএসইর এক কর্মকর্তা জানান, আগামী অক্টোবর মাসের ৩১ তারিখ ডিএসইর অফিস কার্যক্রম নিকুঞ্জ ভবনে স্থানান্তর করা হবে। তবে নতুন ভবনে এখনও কিছু কাজ বাকি আছে। রাজধানীর খিলক্ষেত-নিকুঞ্জ এলাকায় ডিএসইর নিজস্ব জমিতে ১৩তলা ভবন তৈরি হয়েছে। এর আগে ১৯৯৬ সালে সরকারের থেকে চার কোটি টাকায় রাজধানীর খিলক্ষেত-নিকুঞ্জ এলাকায় (বিমানবন্দর সড়কের পাশে) চার বিঘা জমি বরাদ্দ পায় ডিএসই। ডিএসইর ২০১১-২০১২ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বহুতল ভবনটির সম্ভাব্য নির্মাণব্যয় ধরা ছিল ১৩২ কোটি টাকার বেশি।
নকশা অনুযায়ী, ভবনের আয়তন সাত লাখ ৪১ হাজার ১০৯ বর্গফুট। ভূগর্ভস্থ তিনতলা কার পার্কিংয়ের স্থান বাদে মূল ভবন হবে ১৩ তলা। এর প্রথম দুই তলায় থাকবে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সাব-স্টেশন, লবি, মিডিয়া সেন্টারসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান। চতুর্থ তলা ডিএসইর অফিসের জন্য বরাদ্দ রাখা হবে। পঞ্চম তলা থেকে ১১ তলায় ব্রোকারেজ হাউস ও শেয়ারবাজার-সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থাকবে। অডিটরিয়ামের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১২ তলার কিছু অংশ ও ১৩ তলা। ভবনে ওঠা-নামায় যাত্রীবাহী লিফটের সঙ্গে থাকবে একটি কার্গো লিফট।
২০০৭ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ফখরুদ্দীন আহমেদ। ওই বছর ২৮ মার্চ ডিএসইর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট শাকিল রিজভী নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন।
২০০৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ডিএসইর ভবন নির্মাণ, স্থাপত্য ও প্রকৌশল কাজের জন্য জিবিবি লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী, ২০১০ সালের ৩১ মার্চে কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যে মোট কাজের ২৪ দশমিক ১৭ শতাংশ শেষ হয়। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষে ব্যর্থ হওয়ায় আদালতের নির্দেশে ২০১০ সালের ১৫ জুলাই জিবিবি লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে ডিএসই।