দেলোয়ার হোসেন বলেন, ট্যানারি মালিকদের কাছে আড়তদারদের প্রায় ৪০০ কোটি টাকা পাওনা। এ টাকা পরিশোধ না করা পর্যন্ত ট্যানারি মালিকদের কাছে চামড়া বিক্রি করব না। সভায় আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আজ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ট্যানারি মালিক, আড়তদার ও কাঁচা চামড়া সংশ্লিষ্টদের বৈঠক আছে। সেখানে আলোচনার পর আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।

ট্যানারি মালিকদের কারণে চামড়ার দাম কমেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ট্যানারিগুলো বকেয়া টাকা না দেওয়ায় এবার অর্থের অভাবে চামড়া কিনতে পারিনি। অন্য বছর ঈদের আগের দিন আড়তদারদের সঙ্গে আলোচনা করলেও এবার তারা কোনো কথা বলেনি। তারা যদি আমাদের আশ্বস্ত করত ন্যায্য দামে চামড়া কিনতে তাহলে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো না। কিন্তু এটি না করে উল্টো মিডিয়ার কাছে নানা কথা বলেছেন।

এ কারণে আরও দর কমেছে। তাই ট্যানারি মালিকরাই এ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন। এদিকে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী কোরবানির পশুর লবণযুক্ত কাঁচা চামড়া কেনা শুরু করেন ট্যানারি মালিকরা।

ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও সালমা ট্যানারির মালিক সাখাওয়াত উল্লাহ জানান, আমরা লবণযুক্ত কাঁচা চামড়া কেনা শুরু করেছি। আমরা সরকার নির্ধারিত মূল্যে আগামী দুই মাস চামড়া সংগ্রহ করব। যেসব চামড়া ভালোভাবে সঠিক সময়ে লবণ দিয়েছে ওইসব চামড়া ভালো দামে কেনা হবে। এ ছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ট্যানারি মালিক, আড়তদার ও কাঁচা চামড়া সংশ্লিষ্টদের বৈঠকে বর্তমান চামড়ার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে। এরপর বিস্তারিত জানানো যাবে বলে জানান ট্যানারি মালিকদের এ নেতা।