ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

দরপতনের ধাক্কায় ডিএসই

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
🕐 ১০:১৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ২২, ২০১৯

পুঁজিবাজারে আতঙ্ক থামছেই না। ফলে প্রতিদিনই পড়ছে সূচক। সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন গতকাল সোমবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দরপতনে বড় ধাক্কা লেগেছে। প্রধান সূচক ডিএসইএক্স নেমে আসে ৫০০০ পয়েন্টের নিচে। গত আড়াই বছরের মধ্যে যা সর্বনিম্ন।

ডিএসইএক্স ৬৭ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৯৬৬ দশমিক ৪৪ পয়েন্টে নেমে আসে। সূচকে এর চেয়ে খারাপ অবস্থা ছিল সর্বশেষ ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর। সেদিন সূচক নেমে গিয়েছিল ৪ হাজার ৯৬৬ পয়েন্টে। চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি ডিএসইএক্স সূচক অবস্থান করছিল ৫৯৫০ পয়েন্টে। সেই হিসাবে গত ছয় মাসে ১০০০ পয়েন্ট হারিয়েছে ডিএসইর প্রধান সূচক।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত বেশ কিছুদিন ধরে সব খাতের শেয়ারের দরই পড়ছে। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অসন্তোষ ও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। ১৫ দফা দাবি নিয়ে ছোট বিনিয়োগকারীরা মিছিল, মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিএসইসি) অস্বাভাবিক এই দরপতনের কারণ খুঁজে বের করতে গত রোববার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। পুঁজিবাজারে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য বিএসইসি এবং বাংলাদেশ ব্যাংক বেশকিছু পদক্ষেপও নিয়েছে। কিন্তু কিছুতেই ঠেকানো যাচ্ছে না দরপতন।

এ বিষয়ে ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি শাকিল রিজভী গণমাধ্যমে বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের আস্থার সংকট থেকেই পুঁজিবাজারে বর্তমান এই অস্থিরতা। এখন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তাই কেউ নতুন কেউ শেয়ার কিনছেন না। যাদের আছে তারা বিক্রি করে দিচ্ছেন। সেই বিক্রির চাপে পতন হচ্ছে বাজারে।’

পতন অব্যাহত থাকলেও বাজার আবার চাঙ্গা হবে বলে আশা করেন শাকিল রিজভী। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে, বাজার অনেক পড়ে গেছে। সব শেয়ারের দামই অনেক নিচে নেমে এসেছে। এখন কেনার চাপ বাড়বে। বাজার ভালো হবে।’

বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, টানা দরপতন হচ্ছে। সবাই দেখছে। কিন্তু কেউ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে তারা ফের রাস্তায় নামতে বাধ্য হবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।

বাজার পরিস্থিতি
সোমবার ডিএসইএক্স সূচক ৬৭ দশমিক ৩০ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ কমে ৪ হাজার ৯৬৬ দশমিক ৪৪ পয়েন্টে নেমে এসেছে। ডিএসইএস বা শরিয়াহ সূচক ১৮ দশমিক ৩৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ১৩৯ দশমিক ৫৩ পয়েন্টে। আর ডিএস৩০ সূচক ২৩ দশমিক ২৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৭৭৬ দশমিক ১৪ পয়েন্টে।

ঢাকায় সোমবার ৪৬৪ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩৬৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নিয়েছে ৩৫৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৬০টির, কমেছে ২৭৭টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬টির দর। অন্যদিকে সিএসইএর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১৯৯ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট কমে ১৫ হাজার ২১৫ দশমিক ৯১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। শতাংশ হিসাবে এই সূচক ১ দশমিক ২৯ শতাংশ কমেছে।

সোমবার সিএসইতে ২১ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। রোববার লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১৭ কোটি ১০ লাখ টাকা। লেনদেন হয়েছে ২৮৬টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৫১টির, কমেছে ২১৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টির দর।

 
Electronic Paper