ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

প্রত্যাশা ছাড়াল রপ্তানি

জাফর আহমদ
🕐 ১০:৫৯ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ০৯, ২০১৯

বিদায়ী ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তৈরি পোশাক ও কৃষিজাত পণ্য রপ্তানির সুখবরেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। সরকারের নানামুখি প্রচেষ্টার পরও দেশের এক সময়ের প্রধান রপ্তানিপণ্য পাট ও পাটজাত পণ্য এবং হিমায়িত মৎস্য রপ্তানিতে অগ্রগতি অর্জন সম্ভব হয়নি। তবে সার্বিক রপ্তানি আয় প্রত্যাশা ছাড়িয়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

তথ্য অনুযায়ী, ৩৯ বিলিয়ন ডলারের বিপরীতে রপ্তানি হয়েছে ৪০ দশমিক ৫৩৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় চার শতাংশ বেশি রপ্তানি হয়েছে। আগের বছরের তুলনায় রপ্তানি হয়েছে ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশ। রপ্তানির এ ধারা কারখানাকে কোনো রকম বাঁচিয়ে রপ্তানি বৃদ্ধি বলে বিবেচনা করছেন রপ্তানিকারকরা।

এ বিষয়ে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন ফেডারেশন অব চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন খোলা কাগজকে বলেন, দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক। রপ্তানির আশি ভাগের উপরে আসে এ খাতে। দেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলোকে টিকে থাকার জন্য কম দামে কার্যাদেশ নিতে হচ্ছে। এতে রপ্তানি বাড়ার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি সচল থাকলেও ভালো নেই উদ্যোক্তারা। তিনি বলেন, সরকার বাজেটে কিছু প্রণোদনা দিয়েছে। রপ্তানি বাজারে প্রতিযোগিতাক্ষম করে তুলতে আরও কি কি সহায়তা দেওয়া যায়, সে ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে হবে। এটা সম্ভব না হলে ঝুঁকি নিয়ে উদ্যোক্তারা তৈরি পোশাক রপ্তানিতে থেকে উৎসাহ হারাবে। এতে রপ্তানির ছন্দপতন হবে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী মোট রপ্তানির ৮৪ দশমিক ২০ শতাংশ তৈরি পোশাক। প্রবৃদ্ধির হার ১১ দশমিক ৪৯ শতাংশ। ডলারের অঙ্কে ৩৪ দশমিক ১৩৩ বিলিয়ন ডলার। রপ্তানিতে অগ্রগতির ধারায় রয়েছে কৃষিজাত পণ্য। এ খাতে আসছে ৯০৫ মিলিয়ন ডলার। এর বাইরে এক সময়ের প্রধান রপ্তানি পণ্য পাট ও পাটজাত পণ্য ও মাছে শত চেষ্টা করেও কোনো সুফল আসেনি। পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি কমেছে ২০ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং মাছ রপ্তানি কমেছে দেড় শতাংশ। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৮১৬ দশমিক ২৭ মিলিয়ন ডলার। হিমায়িত মৎস্য রপ্তানিতে ৫০৫ মিলিয়ন ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রপ্তানি হয়েছে ৫০০ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলারে। এক সময়ের সোনালি আঁশের গৌরব ফেরাতে সরকারের নানা চেষ্টা ও উদ্যোগ সফল হয়নি। সাদাসোনা-খ্যাত চিংড়ি রপ্তানিতে আশার কথা বলা হয়েছিল সেখানেও প্রত্যাশা পূরণে করেনি।

বাংলাদেশ জাহাজ রপ্তানিতে সম্ভাবনাময় দেশ হয়ে উঠেছিল। গত এক দশকে উত্তরোত্তর প্রবৃদ্ধিও হয়েছিল। বিদায়ী অর্থবছরে আবার তা কমতে শুরু করেছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জাহাজ রপ্তানি কমেছে ৮৪ দশমিক ২৬ শতাংশ। ৩০ মিলিয়ন ডলারের বিপরীতে জাহাজ রপ্তানি হয়েছে ৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ। একইভাবে বাইসাইকেল, ইলেকট্রিক পণ্য ও ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য রপ্তানিতে সম্ভাবনা শুধু ম্লানই হয়ে যাচ্ছে।

 
Electronic Paper