ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

মুনাফার দেখা পেয়েছে প্রাইম ফাইন্যান্স

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৫:০১ অপরাহ্ণ, মে ১৪, ২০১৯

ধারাবাহিকভাবে লোকসান করা আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠান প্রাইম ফাইন্যান্স চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) মুনাফার দেখা পেয়েছে। তবে নগদ অর্থ সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষের দেওয়া আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, চলতি হিসাব বছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ৪ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ৫১ পয়সা। ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানিটি ২০১৫ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে লোকসান করছে। ২০১৫ সালে শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ১ টাকা ৫৩ পয়সা। পরের বছর ২০১৬ সালে শেয়ারপ্রতি লোকসান আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৩ টাকা ৪৮ পয়সা। তবে ২০১৭ সালে শেয়ারপ্রতি লোকসান কিছুটা কমে দাঁড়ায় ১ টাকা ৬৮ পয়সা।

এদিকে কোম্পানিটির পরিচালন নগদ প্রবাহের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো বা পরিচালন নগদ প্রবাহ দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ১৪ পয়সা। অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ঋণাত্মক হওয়ার অর্থ নগদ টাকার সংকট দেখা দেয়া। যে প্রতিষ্ঠানের ক্যাশ ফ্লো যত বেশি ঋণাত্মক, ওই প্রতিষ্ঠানের নগদ অর্থ সংকট তত বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি প্রতিষ্ঠানের অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ঋণাত্মক হয়ে পড়লে ওই প্রতিষ্ঠানের পক্ষে নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা কঠিন হয়ে পড়ে। আর আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ক্যাশ ফ্লো ঋণাত্মক হয়ে পড়লে সময়মতো গ্রাহকের অর্থ পরিশোধ করা অনেক সময় সম্ভব হয় না। শুধু চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে নয়, আগের বছরের প্রথম প্রান্তিকেও আর্থিক খাতের এ প্রতিষ্ঠানটির ক্যাশ ফ্লো ঋণাত্মক ছিল। আগের বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ছিল ঋণাত্মক ১ টাকা ৩৫ পয়সা।

 
Electronic Paper