ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

আসন্ন বাজেট

ঘাটতি ১ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকা

জাফর আহমদ
🕐 ১০:৪৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২২, ২০১৯

আগামী বাজেটের আকার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ বাড়বে। তবে এ বাজেট ঘাটতি মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৫ শতাংশের মধ্যেই থাকবে। টাকার অঙ্কে বাজেটের এ ঘাটতি দাঁড়াবে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা। আর বাজেটের পরিমাণ দাঁড়াবে ৫ লাখ লাখ ২৪ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা টাকা।

গত ১০ বছরের তথ্যে দেখা যায়, সর্বোচ্চ বাজেট ঘাটতি ছিল ২০১৭-১৮ অর্থবছরে। এ বছর বাজেট ঘাটতির হার ছিল ৫ শতাংশ। এরপর চলতি ২০১৮-১৯ বছরে বাজেট ঘাটতির হার নামে ৫ শতাংশের নিচে। আর ১০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম বাজেট ঘাটতি ছিল ২০০৯-১০ সালে। ওই বছরে বাজেট ঘাটতির হার ছিল ৩ দশমিক ২ শতাংশ। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য মতে, ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি ধরা হচ্ছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা। চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের মূল বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি ধরা হয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা। এটি এর পূর্ববর্তী (২০১৭-১৮) অর্থবছরের চেয়ে ১৩ হাজার ১৭ কোটি টাকা বেশি।

বাজেটের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত ১০ বছরে সবচেয়ে বেশি বাজেট ঘাটতি বেড়েছে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে। আলোচ্য বছরে বাজেট ঘাটতি বেড়েছে ৪৩ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা। ওই অর্থবছরের মূল বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ দেখানো হয়েছিল ১ লাখ ১২ হাজার ২৭৬ কোটি টাকা। এর পূর্ববর্তী ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সামগ্রিক ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৬৮ হাজার ২৮৯ কোটি টাকা এবং ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাজেট ঘাটতি ছিল ৬৫ হাজার ৪৮২ কোটি টাকা।

সূত্র মতে, ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট ঘাটতি পূরণে বৈদেশিক উৎস থেকে নিট ৫২ হাজার ২২০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হতে পারে। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে এর পরিমাণ ধরা হয়েছে ৫০ হাজার ১৬ কোটি টাকা। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে নিট ৯৩ হাজার ৭৩০ কোটি টাকা নেওয়া হবে। এর মধ্যে ব্যাংক খাত থেকে ৬৮ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা (চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে এর পরিমাণ ধরা হয়েছে ৪২ হাজার ২৯ কোটি টাকা) এবং সঞ্চয়পত্র খাত থেকে ২২ হাজার ২৭০ কোটি টাকা (চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে এর পরিমাণ ধরা হয়েছে ২৬ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা) নেওয়া হতে পারে।

চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা বাজেট ঘাটতির মধ্যে ২৬ কোটি টাকা সঞ্চয়পত্র বিক্রির মধ্যে থেকে সংগ্রহের কথা ছিল। কিন্তু ৬ মাসেই সঞ্চয়পত্র থেকে অর্থ সংগ্রহের পরিমাণ ৩৭ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। এর ফলে ব্যাংক থেকে খুব বেশি একটা অর্থ সংগ্রহ করা লাগেনি।

 
Electronic Paper