ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

সেমিনারে বক্তারা

এসডিজি বাস্তবায়নে এতিম শিশুদের মূলধারায় আনতে হবে

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
🕐 ৯:৫০ অপরাহ্ণ, মার্চ ২০, ২০১৯

জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়নলক্ষমাত্রা (এসডিজি) অর্জন করতে দেশের এতিম শিশুদের মূলধারায় আনার তাগিদ দিয়েছেন বক্তারা। তারা বলেন, সুবিধাবঞ্চিত এতিম শিশুদের সমাজের মূলধারায় সম্পৃক্তকরণে সামাজিক নিরাপত্তামূলক বহুমূখী কর্মসূচি গ্রহণ, আয় বর্ধনমূলক কাজে এতিম পরিবারকে সহায়তাকরণ এবং জাতীয় বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখা প্রয়োজন।

বুধবার রাজধানীর সিরডাপ আর্ন্তজাতিক কনফারেন্স হলে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক আর্ন্তজাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইসলামিক রিলিফ ওয়ার্ল্ডওয়াইড বাংলাদেশ আয়োজিত ‘এতিম শিশুদের অধিকার নিশ্চিতকরণে পরিবারের উন্নয়ন’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। ইসলামিক রিলিফের কান্ট্রি ডিরেক্টর আকমল শরীফের সভাপতিত্বে, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আইনুল কবীর ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুশান্ত কুমার প্রামাণিক, কুড়িগ্রামের ওলিপুর উপজেলার ওলিপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কুমারী দীপা রানী সরকার এবং অপুয়ার খাতা গ্রামের বিধবা রওশন আরা প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেন, শিশুদের ভরণ পোষণে সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সরকার এতিমখানা শব্দটি পরিবর্তন করে বর্তমানে শিশু পরিবার নামে পরিচালিত হচ্ছে। বর্তমানে সরকারের পক্ষ থেকে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ বেসরকারি এতিম খানার প্রায় ৬২ হাজার এতিম শিশুকে ক্যাপিটেশন গ্রান্ট প্রদান করা হচ্ছে। দরিদ্র এতিম শিশুদের মানব সম্পদে পরিণত করাই ক্যাপিটেশন গ্রান্টের প্রধান উদ্দেশ্য।

তিনি ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ কর্তৃক বাস্তবায়িত এতিম পবিরারের উন্নয়নে কার্যক্রমটির কলেবর বৃদ্ধি করে অন্যান্য এলাকায় বাস্তবায়ন করার ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সকল বেসরকারি সংস্থাকে আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, পূর্ববর্তী বছরগুলোতে ওআইসি ঘোষিত’ এতিম দিবস (১৫ই রমজান)’ পালনের জন্য ইসলামিক রিলিফ যে উদ্যোগ নিয়েছে তা প্রসংশনীয়। এ ব্যাপারে জাতীয়ভাবে দিবসটি পালনের জন্য সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিবে।

আইনুল কবীর বলেন, মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয় প্রায় ৭ হাজার শিশু ক্লাব পরিচালনা করছে। যার মাধ্যমে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের উন্নয়নে কাজ করছে। সুশান্ত কুমার প্রামাণিক বলেন, এতিম শিশু ও তাদের পরিবারের সার্বিক উন্নয়নে দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে।

ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর আকমল শরীফ বলেন, কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলায় ৭ শত এতিম শিশু ও তাদের পরিবারের মর্যাদা ও সুরক্ষাবৃদ্ধি এবং টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে ৪ বছর মেয়াদী “অল্টারনেটিভ অরফান ফ্যামিলি স্পন্সরশীপ প্রোগ্রাম থ্রূ সাসটেইনেবল লাইভলিহুডস” প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। এই প্রকল্পটি এবছরই নোভেশন ক্যাটাগরিতে ব্রিটিশ ওভারসিজ এনজিওজ ফর ডেভেলপমেন্ট (বন্ড) এওয়ার্ড লাভ করে। তিনি বলেন, কমিউনিটি ভিত্তিক পরিচর্যার মাধ্যমে এতিম শিশুদের বৃদ্ধি ও বিকাশে সহায়তা সময়ের দাবি।

 
Electronic Paper