ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

‘প্রয়োজন আছে বলেই নতুন ব্যাংকের অনুমোদন’

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ২:৪৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৯

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল বলেছেন, নতুন ব্যাংকের প্রয়োজন আছে বলেই আরও তিনটি ব্যাংকের অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে আমি গভর্নরের সাথে কথা না বলে এ বিষয়ে ডিটেইল বলতে পারব না। সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে যোগ দেয়ার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বিষয়টি বলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের ব্যাংকের সংখ্যা নিয়ে আমি চিন্তিত নই। ব্যাংকগুলো সাধারণ জনগণকে ঠিকমতো নিয়মের মধ্যে সেবা দিতে পারছে কি না সেইটাই বিবেচ্য বিষয়।’

গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সভায় নতুন তিনটি ব্যাংকের নীতিগত অনুমোদন দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ব্যাংকগুলো হলো- বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, দ্য সিটিজেন ব্যাংক ও পিপলস ব্যাংক। এ তিন ব্যাংক অনুমোদনের ফলে দেশে সব মিলিয়ে তফসিলি ব্যাংকের সংখ্যা দাঁড়াল ৬২টিতে।

মুস্তাফা কামাল বলেন, ‘দেশের নতুন ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ৪০০ কোটি থেকে ৫০০ কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে। অনুমোদিত মূলধন বেশি হলে সেফটি নেটটা বড় হবে। বিদেশে একটা ব্যাংকের শাখার মোট টাকা আছে আমাদের দেশের ২০ টা ব্যাংকের এক সাথে তা নেই।’

ব্যাংক মার্জার (একাধিক ব্যাংক একত্রিত করা) করার কথা বলা হচ্ছে- এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘মার্জার করা হবে। মার্জার অবশ্যই করা হবে। মার্জার করার যদি কোনো প্রয়োজনীয়তা হয়, তবে করা হয়। এখন তো ব্যাংকগুলোকে আমরা কিছু কথাবার্তা বলছি। তাদের কিছু শর্ত দেয়া হবে, তারা কীভাবে পারফর্ম করবে, কীভাবে ক্যাসিফাইড লোন কমিয়ে নিয়ে আসা হবে। আমাদের মূল সমস্যা হচ্ছে ক্লাসিফাইড লোন, ক্লাসিফাইড লোন কমিয়ে নিয়ে আসতে হলে ব্যাংকগুলোকে একটা অবস্থান সৃষ্টি করে দিতে হবে যে, তারা এটা কীভাবে করবে। আশির দশক থেকে ক্লাসিফাইড লোন হয়ে আসছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘খেলাপি ঋণ পরিমাণ কমাতে হবে। আমাদের বড় সমস্যা হচ্ছে খেলাপি ঋণ। খেলাপি ঋণ কমাতে না পারলে সুদের হার ও আমানত এবং সুদের হারের পার্থক্য বেড়ে যায়।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘লোনগুলো কীভাবে ক্লাসিফাইড হলো, তা দেখার জন্য আমরা শিগগিরই স্পেশাল অডিটের ব্যবস্থা করছি। স্পেশাল অডিটের পর আমাদের কথা বলা ভালো হবে।’

 
Electronic Paper