ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

চালের মজুদ পর্যাপ্ত, দাম বাড়া অযৌক্তিক : খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার

নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ১:২৭ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১১, ২০১৯

বাজারে অযৌক্তিক কারণে অস্বাভাবিকভাবে চালের দাম বৃদ্ধির কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন সদ্য দায়িত্ব নেওয়া খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ অনেক আগেই খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি চাল ও খাদ্যশস্য মজুদ আছে। তারপরও চালের দাম বাড়বে কেন?

গতকাল বৃহস্পতিবার খাদ্য অধিদপ্তরে মন্ত্রীর সঙ্গে চাল ব্যবসায়ী সমিতি, আড়তদার ও অটো চাল মিল মালিকদের মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। নির্বাচনের পরপরই হঠাৎ এক লাফে প্রতি কেজি চালের দাম ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে এই মতবিনিয় সভার আয়োজন করা হয়।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে কৃষক ধান উৎপাদন করে, সেই ধান প্রক্রিয়াজাত করে খুচরা বিক্রেতার কাছে পৌঁছে দেন মিল মালিকরা। আর সেই খুচরা ব্যবসায়ীরা সাধারণ ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দেন। এখানে তিন স্তরে মধ্যস্থতাকারী থাকে। চালের দাম বাড়লে এই তিন পর্যায়ের অংশগ্রহণকারীদের দায় নিতে হবে।

বিষয়টি গণমাধ্যমে দেখার সঙ্গে সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে সংশ্লিষ্টদের ডেকেছেন বলেও জানান তিনি। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এর সমাধানের উপায় খুঁজে বের করবেন। কারণ বিষয়টি একেবারেই সাধারণ মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, খাদ্যের বিষয়ে তার যদিও কোনো কাজ নেই। কিন্তু চালের দাম বৃদ্ধি পেলে তার জবাবদিহিতা রয়েছে। এ কারণে খাদ্যমন্ত্রীর কাছে জানার পরপরই বিষয়টি নিয়ে বসতে সম্মতি দিয়েছেন তিনি।

টিপু মুনশি বলেন, যে দেশে খাদ্য মজুদ থাকে সেই দেশে হুট করে খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পেতে পারে না। এটা খতিয়ে দেখতে হবে। চালের দাম স্বাভাবিক রাখতে কাজ করার বিষয়ে অঙ্গীকার করেন তিনি।

মতবিনিময় সভায় নওগাঁ জেলা চাল কল মালিক নেতা নায়েব আলী বলেন, তারা শুধু ধান ক্রয় করে প্রক্রিয়াজাত করে বাজারে চাল বিক্রি করেন। এখানে সামান্য লাভ রেখে তারা চাল ছেড়ে দেন। তিনি জানান, চালের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি তাদের ওপর বর্তায় না। এটা প্রতিরোধে খুচরা ব্যবসায়ীদের প্রতি নজর দিতে হবে।

চাল কল মালিক সমিতির আরেক নেতা বেলাল হোসেন বলেন, তারা অটো রাইস মিল মালিকরা যে চাল ৪৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন, সেটা ঢাকায় এসে ৭০ থেকে ৭৮ টাকা করে হয় কীভাবে?

অযথা চাল মিল মালিকদের দোষারোপ না করার পরামর্শ দেন তিনি। বলেন, এই সমস্যার সঠিক তদারকি করতে হবে।

এ সময় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা চাল ব্যবসায়ী ও মিল মালিকরা বক্তব্য দেন।

 

 
Electronic Paper