ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

স্বস্তির বিদেশি ঋণ বাড়াচ্ছে অস্বস্তি

সাজেদুর রহমান
🕐 ১০:৪৯ অপরাহ্ণ, মে ২৬, ২০১৮

ঋণ ব্যবস্থার উচ্চ সুদহার থেকে রক্ষা পেতে গত এক দশক ধরেই দেশীয় উদ্যোক্তারা বিদেশি ঋণের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ছেন। দেশীয় ব্যাংক ব্যবস্থার তুলনায় প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ কম সুদহারে পাওয়া এ ঋণ সাশ্রয়ী বিনিয়োগের জন্য উদোক্তাদের কাছে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ছিল বেশ স্বস্তিদায়ক।

কিন্তু এর পর থেকে লাইবর (লন্ডনের শীর্ষ ১৫ ব্যাংকের আন্তঃলেনদেনে সুদহার) সুদহার বৃদ্ধি ও টাকার অবমূল্যায়নের কারণে সেই ঋণে বাড়তি বোঝা তৈরি হয়েছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন বেসরকারি উদ্যোক্তারা। আন্তর্জাতিক মুদ্রা বাজার এবং ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১৫ সালে তিন মাস লাইবর সুদের হার ছিল শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ, যা বর্তমানে দুই শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। আর ছয় মাস লাইবর সুদের হার শূন্য দশমিক ৩৮ শতাংশ থেকে ২ দশমিক ২২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। একই সময়ে প্রতি ডলার ৭৮ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪ টাকা ২০ পয়সায়। এ সময়ে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে ৭ শতাংশের বেশি। এসব কারণে যে বিদেশি ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার ছিল ৫ শতাংশ, সে ঋণের সুদহার শুধু পয়েন্ট বেসিসে তা এখন ১৩ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। এছাড়া টাকার অবমূল্যায়নের কারণে ঋণের মূল্যও বেড়ে গেছে। ৭৮ টাকা প্রতি ডলার হিসেবে ২০১৪-১৫ সালে স্বস্তির বিদেশি ঋণ বাড়াচ্ছে অস্বস্তি
এক কোটি ডলারের যে ঋণের মূল্য ছিল ৭৮ কোটি টাকা, সেই ঋণের মূল্য এখন দাঁড়িয়েছে ৮৪ কোটি টাকার বেশি। এতে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়জনিত ক্ষতির মুখে পড়েছে বেসরকারি খাত। এক্ষেত্রে বিদেশি মুদ্রায় যাদের আয় নেই সেসব কোম্পানিই ক্ষতির মুখে পড়েছে। এ ধরনের ঋণে বিদেশি দায় ছাড়াও আর্থিক ব্যবস্থায় কিছু ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিদেশি ঋণের ক্ষেত্রে একটি বড় ঝুঁকি হচ্ছে, এসব ঋণ যখন পরিশোধের সময় ঘনিয়ে আসবে, তখন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে তা বড় ধরনের চাপ তৈরি করবে। এমনিতেই রপ্তানির চেয়ে আমদানি ব্যয় বেশি হওয়ায় চাপের মধ্যে রয়েছে রিজার্ভ। অবশ্য দেশীয় প্রেক্ষাপট বিবেচনায় এখনো বিদেশি ঋণকে তুলনামূলক সাশ্রয়ী হিসেবেই দেখছেন অনেকেই। বিশেষ করে দীর্ঘমেয়াদি ঋণের ক্ষেত্রে।
এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন খোলা কাগজকে বলেন, ‘লাইবর হার বৃদ্ধি ও টাকার অবমূল্যায়নের কারণে বিদেশি ঋণের বাড়তি সুবিধাটি কমে এসেছে। তবে দেশীয় ব্যাংক ব্যবস্থার তুলনায় বিদেশি ঋণ পরিস্থিতি এখনো ততটা খারাপ হয়ে যায়নি। কারণ এখন অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদহারও বাড়ছে। আর যেসব কোম্পানি স্থায়ী (ফিক্সড) লাইবর হারে ঋণ নিয়েছে, তাদের অবস্থান চলমান হারের তুলনায় ভালো।  
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত বেসরকারি খাতে মোট বিদেশি ঋণের পরিমাণ ছিল সাড়ে ১০ বিলিয়ন ডলার। এ সময় পর্যন্ত বিদেশি ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে টেলিযোগাযোগ, বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানি ও তৈরি পোশাক খাত। মোট বিদেশি ঋণের প্রায় ৬০ শতাংশই এসেছে এসব খাতে। এর বাইরে সিমেন্ট, ইস্পাত ও ফার্মাসিউটিক্যালস খাতের উদ্যোক্তারাও উল্লেখযোগ্য পরিমাণের বিদেশি ঋণ নিয়েছেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কারখানা সম্প্রসারণ কিংবা আধুনিকীকরণে এসব ঋণের ব্যবহার হয়েছে। কম সুদহারের কারণে বিদেশি ঋণ নেওয়া প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ ব্যয় সে সময় কমে আসে, যা প্রতিষ্ঠানের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। স্থানীয় ব্যাংকে ঋণের সুদ হার বেশি থাকায় অনেক কোম্পানি বিদেশ থেকে কম সুদের ঋণ এনে স্থানীয় ব্যাংকের ঋণও পরিশোধ করে।
বিদেশি ঋণ নেওয়া এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তৈরি পোশাক ছাড়া অন্য প্রতিষ্ঠানের আয়ের প্রধান উৎসই অভ্যন্তরীণ বাজার। এসব প্রতিষ্ঠান এখন বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়জনিত বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করে টাকায়। টাকার অবমূল্যায়নে পরোক্ষভাবে তাদের ঋণের মূল্য ও সুদহার বেড়ে গেছে। বাজার থেকে উচ্চমূল্যে ডলার কিনে ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ করতে হচ্ছে।
পর্যালোচনায় দেখা যায়, বিদেশি ঋণের প্রতি বেসরকারি খাতের ঝোঁক বাড়ে ২০১২ সালের পর। ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ঋণের গড় সুদহার ছিল ১৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ। আর এ সময় বিদেশি উৎস থেকে সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ হারে ঋণ পাওয়া যেত। স্থানীয় ব্যাংকের সুদহার বেড়ে যাওয়ায় বিদেশি ঋণে আগ্রহী হয়ে ওঠেন বেসরকারি উদ্যোক্তারা। ২০১২ সালে বেসরকারি খাতে মোট বিদেশি ঋণ ছিল ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার, যা ২০১৩ সালের জুন মাসে ২ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়।
আর ২০১৪ সালে বেসরকারি খাতে বিদেশি ঋণের প্রবাহ আরও বাড়তে দেখা যায়। এ সময় বিদেশি ঋণ সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। পরের বছর ২০১৫ বাংলাদেশ ব্যাংক বিদেশি ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে শর্তাবলি শিথিল করে। ফলে এ সময়ে বিদেশি ঋণ গ্রহণে উদ্যোক্তাদের মধ্যে হিড়িক পড়ে যায়। এতে এক বছরের ব্যবধানে ২০১৫ সালের জুন মাসে এ ঋণ দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারে। ২০১৬ সালের জুন মাস শেষে বিদেশি ঋণ দাঁড়ায় ৮ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলারে। আর ২০১৭ সালের জুন শেষে এ ঋণ ১০ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়।
বিদেশি প্রতিষ্ঠান থেকে নেওয়া ঋণগ্রহীতারা ২০১৬ সালে মূল ঋণের ৪৭৪ মিলিয়ন ডলার ফেরত দিয়েছে। একই সময়ে সুদ বাবদ ৯৮ দশমিক ২ মিলিয়ন ও কমিশন বাবদ ১ দশমিক শূন্য ৬ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছেন।
গত কয়েক বছরে বিদেশি উৎস থেকে বড় অংকের ঋণ নেওয়া বেসরকারি খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে গ্রামীণফোন, এয়ারটেল, সামিট গ্রুপ, বিএসআরএম স্টিলস, মিডল্যান্ড পাওয়ার কোম্পানি, রিজেন্ট এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার, প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম, রবি, নেসলে, আবুল খায়ের, ইউনাইটেড গ্রুপ, বেক্সিমকোসহ আরও বেশ কিছু কোম্পানি। অধিকাংশ ঋণের ক্ষেত্রেই লাইবর হারের সঙ্গে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ যোগ করে গড়ে প্রায় ৫ শতাংশ সুদে বিদেশি ঋণ পেয়েছিল বিভিন্ন কোম্পানি যা স্থানীয় ব্যাংকের সুদহারের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ।
২০১০ সালে তিন মাস লাইবর (লন্ডনের শীর্ষ ১৫ ব্যাংকের আন্তঃলেনদেনে সুদহার) সুদের হার ছিল শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ। ২০১৫ সাল পর্যন্ত এ হার মোটামুটি স্থিতিশীল ছিল। লাইবর হার ২০১৬ সাল থেকে বাড়তে শুরু করে, যা চলতি বছরের মার্চে এসে তিন মাস ও ছয় মাস লাইবর হার ২ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।
২০১৫ সালে সামিট গ্রুপের কোম্পানি সামিট মেঘনাঘাট পাওয়ার চীনের প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির কাছ থেকে ৬৪ দশমিক ৮ মিলিয়ন ডলারের ঋণ নেয়। একই বছর দেশীয় তিন ব্যাংকের অফসোর ইউনিটের মাধ্যমে সামিট বিবিয়ানা-২ পাওয়ারের মূলধনী যন্ত্রপাতি আনতে ২৫ মিলিয়ন ডলারের ঋণ নেয়। এর আগে ২০১৩ সালে এ কোম্পানিটি ২০০ মিলিয়ন ডলারের বিদেশি ঋণ নেয়। লাইবর হারের সঙ্গে যোগ করে এসব ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার ছিল ৫ থেকে ৬ শতাংশ। লাইবর হার বৃদ্ধি ও টাকার অবমূল্যায়নের কারণে এ ঋণের সুদহার এখন ১২ থেকে ১৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
২০১৩ সালে প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলারের বিদেশি ঋণ নেয় এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেড। পরবর্তীতে ২০১৫ সালে আরও ৫০ মিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক ঋণের অনুমোদন পায় প্রতিষ্ঠানটি। ভারতের এইচডিএফসি ব্যাংকের হংকং ইউনিট থেকে নেওয়া এ ঋণে ছয় মাসের লাইবর রেটের সঙ্গে ২ দশমিক ৭ শতাংশ যোগ করে সুদ হার নির্ধারণ করা হয়। এ হিসেবে সুদহার দাঁড়ায় ৩ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। ঋণ অনুমোদনকালীন ৬ মাস লাইবর রেট ছিল শূন্য দশমিক ৩৮ শতাংশ, যা বর্তমানে ২ দশমিক ২২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এ সময়ে টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে ৭ শতাংশ। এ হিসাবে পয়েন্ট বেসিসে এ ঋণের সুদহার বর্তমানে প্রায় ১২ শতাংশে।
বাংলাদেশ এডিবল অয়েল প্রক্রিয়াকরণ, পরিশোধন ও বিতরণের জন্য সিঙ্গাপুর থেকে ৯ মিলিয়ন ডলার ঋণের অনুমোদন পায়, যা ৬ মাসের লাইবর রেটসহ মোট সুদহার দাঁড়ায় ৪ দশমিক ২৩ শতাংশে। চলতি মাসে এ সুদহার গিয়ে ঠেকেছে ১৩ শতাংশে।
ভারতীয় কোম্পানি সিয়াট বাংলাদেশে কারখানা স্থাপনের উদ্দেশ্য ২০১৫ সালে ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার অফসোর ইউনিট হংকং থেকে ৩৫ মিলিয়ন ডলারের ঋণ নেয়। এ ঋণে ৩ মাস লাইবরের সঙ্গে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ যোগ করে সুদহার নির্ধারণ করা হয়। এ সময় ৩ মাস লাইবর রেট ছিল শূন্য দশমিক ২৬ শতাংশ। এ হিসাবে এ ঋণে সুদ হার দাঁড়ায় ৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ। চলতি মার্চে লাইবর হার বৃদ্ধি ও টাকার অবমূল্যায়নের কারণে এ সুদহার ১৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
গত বছরের মার্চে তালিকাভুক্ত কোম্পানি জিপিএইচ ইস্পাত ৯৪ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক ঋণের অনুমোদন পায়। এ ঋণে ৬ মাসের লাইবর রেটের সঙ্গে ২ দশমিক ৫ শতাংশ যোগ করে মোট ৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ সুদহার নির্ধারণ হয়। এ ঋণের সুদহার এখন ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।
২০১৭ সালের মার্চ পর্যন্ত বেসরকারি খাতে বিদেশি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন ডলার। এটি দেশের বেসরকারি খাতের মোট ঋণের ১০ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং জিডিপির ৪ শতাংশ। ২০১০ সালে বেসরকারি খাতে বিদেশি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার। এটি সে সময়ের বেসরকারি খাতের মোট ঋণের ৪ শতাংশ ও জিডিপির ২ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুসারে, ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে বাণিজ্যিক ঋণের গড় সুদহার ছিল ১৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ, যা পরের বছর ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে ১৪ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশে নেমে আসে। এ সুদহার ধারাবাহিকভাবে কমে গিয়ে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ১০ দশমিক ১৫ শতাংশে নেমে আসে। আর চলতি বছরের জানুয়ারিতে তা ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশে নেমে দাঁড়ায়। যদিও এরপর তারল্য সংকটের কারণে এখন তা আবার ১৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
এ বিষয়ে বিএসআরএম গ্রুপের কোম্পানি সচিব শেখর রঞ্জন কর খোলা কাগজকে বলেন, দুই বছর আগেও বিদেশি ঋণ সুদহারের কারণে স্বস্তিদায়ক ছিল। এখন লাইবর রেট বেড়ে যাওয়ায় সেই ঋণের ব্যয়ভার বেড়েছে। তবে দেশীয় প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বিদেশি ঋণ এখনো বিনিয়োগ অনুকূলে রয়েছে। এখন স্থানীয় উৎসের ঋণের সুদহারও বেড়ে গেছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে বিদেশি ঋণের ঝুঁকির বিষয়ে এমআই সিমেন্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ খানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি খোলা কাগজকে বলেন, বিদেশি ঋণের ক্ষেত্রে কয়েক ধরনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। টাকার অবমূল্যায়নের কারণে ঋণমূল্য ও সুদের হার বেড়ে গেছে। একই সঙ্গে এ ঋণের দায়ও বেড়ে গেছে। এর প্রভাব সংশ্লিষ্ট কোম্পানিতে ভালোভাবেই পড়বে।

 
Electronic Paper