অলংকার থেকে যেভাবে ঝুঁকিমুক্ত বিনিয়োগ স্বর্ণ
অনলাইন ডেস্ক
🕐 ১০:২৫ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৩
১৯৯০ সালের শুরুর দিকে, তখনো সোনার বাজারে মূল চালিকাশক্তি ছিল ভোক্তার চাহিদা। বিশেষ করে ১৯৯২ থেকে ২০০২ পর্যন্ত সময়ে সোনার বেশির ভাগ চাহিদা ছিলো অলংকার ও প্রযুক্তি খাতের উপকরণ হিসেবে। এর পরই চিত্রটি বদলে যেতে থাকে। গত এক দশকে সোনার বার্ষিক চাহিদার ৪৪ শতাংশ ছিল অলংকার ও প্রযুক্তি খাতে।
বাকি চাহিদা তৈরি হয় ব্যক্তি, প্রাতিষ্ঠানিক ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগে। গত তিন দশকে সোনার বাজারে যে রূপান্তর ঘটেছে এ নিয়ে ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের (ডাব্লিউজিসি) ‘৩০ ইয়ারস অব গোল্ড ডিমান্ড ট্রেন্ডস’ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সঞ্চিত সম্পদ হিসেবে সোনার বাজারের ইতিহাস পাঁচ হাজার বছরের। কিন্তু বৈশ্বিক অনিশ্চয়তায় আবশ্যকীয় সম্পদ হিসেবে সোনার অবস্থান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে গত ৩০ বছরে। সে কারণে বেড়েছে দামও। ১৯৯২ সালে সোনার দাম ছিল প্রতি আউন্স প্রায় ৩৩০ ডলার।
আর ২০২২ সালে এসে সোনার মূল্য দাঁড়িয়েছে প্রতি আউন্স এক হাজার ৮১৪ ডলার। বার্ষিক গড়ে ৫.৮ শতাংশ রিটার্নের মধ্য দিয়ে সোনা আর্থিক গুরুত্বে নগদ অর্থ, বন্ড ও পণ্যকে অতিক্রম করেছে। ১৯৯২ সালে যেখানে সোনার বার্ষিক উৎপাদন ছিল দুই হাজার ২৭০ টন, ২০২২ সাল শেষে তা দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৬১২ টনে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সোনা যেভাবে মূল্যবান হয়ে উঠেছে তা একটি কারণে হয়নি। বরং এর পেছনে বেশ কিছু কারণ বিদ্যমান। একটি কারণ হলে গত ৩০ বছরে সোনা এত টেকসই হতো না।
কিটকো নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডাব্লিউজিসির বৈশ্বিক গবেষণা প্রধান জন কার্লোস আর্টিগাস বলেন, ‘গত ৩০ বছরে বিনিয়োগকারীদের পোর্টফোলিওতে স্থিতিশীল মূল্যবান সম্পদ হিসেবে যুক্ত হয়েছে সোনা। প্রাতিষ্ঠানিক ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগে সোনার চাহিদায় যে রূপান্তর ঘটেছে, তাতে মনে হচ্ছে সোনা যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন আরো মূল্যবান। ’
তিনি বলেন, ‘অর্থবাজারে সোনার ভূমিকা নাটকীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে ২০০৩ সালে, যখন সোনা সমর্থিত এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড তহবিল বা গোল্ড ইটিএফ চালু করা হলো। এতে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে সোনা ক্রয় সহজ হয়ে গেল। বিনিয়োগকারীরা এখন সেভাবেই সোনা কিনতে পারছেন, যেভাবে স্টক কিনতে পারেন। ’