হাতবদলেই বাড়ছে দাম
টমেটো পাইকারিতে ১২ টাকা, ঢাকার খুচরা বাজারে ৫০
অনলাইন ডেস্ক
🕐 ১:২৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩
তেতো করলা এখন দামেও বেশ তেতো। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে গতকাল সোমবার এই সবজি প্রতি কেজি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এর আগে কখনো এত দামে তাঁরা করলা বিক্রি করেননি।
কাঁচাবাজারের আরেক নিত্যপণ্য কাঁচা মরিচের দামে কয়েক দিন ধরেই বেশ ঝাল। পটোলের দামও প্রতি কেজি ১০০ টাকা পেরিয়েছে। সবজির বাজারে অস্বাভাবিক এই মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে ব্যবসায়ীরা পরস্পরকে দোষারোপ করছেন। তাঁরা বলছেন, পাইকারি বাজার থেকে হাতবদলেই বাড়ছে দাম।
বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, শীত কমার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে সবজির সরবরাহ কমছে। এতে বাড়তি দামে বিক্রি করা হচ্ছে প্রায় সব ধরনের সবজি। দেশের সবজিভাণ্ডার বলে পরিচিত বগুড়া ও যশোরের পাইকারি বাজারে এখন সবজির সরবরাহ কিছুটা কম। ঢাকার বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হওয়া সবজির বড় একটি অংশই এ দুটি পাইকারি বাজার থেকে আসে।
বগুড়ার পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি করলা ৯২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঢাকার বিভিন্ন খুচরা বাজারে এটি প্রায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি করলার দাম মানভেদে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা।
এখন মৌসুম নয় বলে যশোরের পাইকারি বাজারে করলার সরবরাহ নেই। বগুড়া ও যশোরে পাইকারি বাজারে পটোল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, ঢাকায় খুচরা বাজারে এটি ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ দুটি পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি শিম মানভেদে ১০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, রাজধানীতে এসে তা খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। পাকা টমেটো পাইকারিতে ১২ থেকে ১৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও ঢাকার বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকায়।
বগুড়া ও যশোরে পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচ ৯৫ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীর খুচরা বাজারে তা ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি।
গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজার, জোয়ারসাহারা, বগুড়ার মহাস্থান হাট এবং যশোরের চূড়ামনকাটি হাটের পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
সবজির দামের এই উচ্চ মূল্যবৃদ্ধির কারণে কৃষক ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা খুচরা ব্যবসায়ীদের দুষছেন। তাঁদের অভিযোগ, কয়েক হাত ঘুরে সবজি বেচাকেনার কারণে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে দামের অস্বাভাবিক তারতম্য ঘটে। নানা ছুতায় বাড়ানো হয় সবজির দাম। এ কারণে ভোগান্তিতে পড়ে ভোক্তারা, দাম কম পান কৃষকরা, কিন্তু লাভবান হচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগীরা।