চসিকে পোস্টার সাঁটতে হবে ১১৫ জায়গায়, দিতে হবে ফি
অনলাইন ডেস্ক
🕐 ১২:৩২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৪, ২০২৩

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় এখন থেকে যেখানে–সেখানে পোস্টার সাঁটানো যাবে না। পোস্টার লাগানোর জন্য নগরের ১১৫টি স্থান নির্দিষ্ট করেছে সিটি করপোরেশন।তবে এসব স্থানে বিনা মূল্যে পোস্টার লাগানো যাবে না। দিতে হবে নির্দিষ্ট ফি। নগরের সৌন্দর্য রক্ষা এবং আয় বৃদ্ধির জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা বলছেন, বর্তমানে নগরের প্রায় সব জায়গায় পোস্টার লাগানো হয়। এতে নগরের সৌন্দর্য যেমন নষ্ট হয়, তেমনি এগুলো পরিষ্কার করতে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কর্মীদের বাড়তি সময় দিতে হয়। এ জন্য গত বছরের জুলাই থেকে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু হয়।
এ সময়ে নগরের কোন কোন এলাকায় বেশি পোস্টার সাঁটানো হয়, তা জরিপ করা হয়। আবার কোন ধরনের প্রতিষ্ঠান সবচেয়ে বেশি পোস্টার দেয়, তা–ও এই জরিপে উঠে আসে। এর ভিত্তিতে স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।
পত্রিকায় স্থানগুলোর নাম উল্লেখ করে বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে। তবে এর জন্য ন্যূনতম একটি ফি দিতে হবে। আর পোস্টার নিয়ন্ত্রণের কাজটি সিটি করপোরেশন করবে না। ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হবে। তারাই বক্স তৈরি করবে এবং ফি নিয়ে পোস্টার সাঁটানোর সুযোগ দেবে।
সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম প্রথম আলোকে বলেন, সিটি করপোরেশন পোস্টার সাঁটানোর জন্য ১১৫টি স্থান নির্ধারণ করেছে। নির্ধারিত স্থানের বাইরে কেউ পোস্টার লাগাতে পারবেন না।
আর নির্ধারিত স্থানে পোস্টার লাগাতে হলে একটি নির্দিষ্ট ফি দিতে হবে। এই কার্যক্রম দেখভালের জন্য দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হবে। তাঁরাই অবকাঠামো নির্দিষ্ট স্থানে পোস্টারের জন্য বক্স করে দেবে আর ফি আদায় করবে।
স্থানীয় সরকার আইন অনুযায়ী, সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত স্থান ছাড়া অন্য কোথাও পোস্টার, নোটিশ, প্ল্যাকার্ড ইত্যাদি প্রচারপত্র লাগানো অপরাধ। একইভাবে ২০১২ সালের দেয়াল লিখন ও পোস্টার লাগানো (নিয়ন্ত্রণ) আইনেও যেখানে-সেখানে পোস্টার ও দেয়াল লিখন করা যাবে না বলে উল্লেখ করা হয়। এই আইন ভঙ্গ করলে সর্বনিম্ন ৫ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করার বিধান রয়েছে।
কিন্তু এসব আইন মানার তোয়াক্কা করেন না কেউ। বিশেষ করে কোনো রাজনৈতিক দলের সমাবেশ, স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচন, সম্মেলনের আগে নগরজুড়ে পোস্টার, ফেস্টুন, ব্যানার লাগানো হয়।
রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের এই প্রচারণা বন্ধে সিটি করপোরেশন কখনো তৎপর ছিল না। রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় আইন না মানা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেয়নি সিটি করপোরেশন।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
