ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

জমজমাট বাণিজ্য মেলা; ১৬ দিন পরও নতুন স্টল প্রস্তুত হচ্ছে

মাহবুব আলম প্রিয়, রূপগঞ্জ
🕐 ১:২৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৬, ২০২৩

জমজমাট বাণিজ্য মেলা; ১৬ দিন পরও নতুন স্টল প্রস্তুত হচ্ছে

মেলা ক্রমেই জমতে শুরু করেছে বেচাকেনা। বেড়েছে দর্শনার্থী। ব্যবসায়ীরাও ছাড় দিতে শুরু করায় দর্শনার্থীরা এখন শুধুই দেখছেন না। পন্য ক্রয় করেই মেলা ছাড়ছেন। ১৩০ টাকার পন্যের স্টলে ক্রেতাদের দেখা গেছে উপছে পড়া ভীর। এদিকে মেলার বাইরের পরিবেশ নিয়ে বিব্রত ও হয়রানীর কথা জানালেন দর্শনার্থীরা। শুধু তাই নয়, মেলার ভেতরে ১৬ দিন পরেও নতুন নতুন স্টল নির্মান করতে দেখা গেছে অনেককেই।

 

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, এবার সরকারী ছুটির দিন ছাড়াও গত রবি ও সোমবার দিনভর মেলায় ছিলো লক্ষাধিক লোকের সমাগম। তবে রাজধানী থেকে আসা বাণিজ্য মেলার দর্শনার্থীদের পরিবহনের যান বিআরটিসি ও স্থানীয় সিএনজি অটোরিকশা ওয়ালাদের অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন অনেকে।

১৬ জানুয়ারি সকালেও দর্শনার্থী তেমন উপস্থিতি না থাকলেও দুপুরের পর থেকে মেলার প্রবেশ করতে দেখা গেছে বিপুল পরিমাণ দর্শনার্থীদের। বেচাকেনাও হয়েছে বেশ। মেলার অভ্যন্তরীণ প্যাভিলিয়ন ও সল্টগুলো ছিলো কানায় কানায় পূর্ণ। ব্লেজার বিক্রেতা, শীতের কাপড়ে দেয়া হয়েছে বিশেষ ছাড়। ফলে বেড়েছে বেচাকেনা ও দর্শনার্থীদের উপস্থিতি। এদিকে মেলায় আয়োজকরা প্রত্যাশা পুরণ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

আর বেশি ক্রেতা পেয়ে ব্যবসায়ীদের নিয়োজিত লোকজন ক্রেতাদের হাতে ধরে স্টল পরিদর্শনে আহবান জানাচ্ছেব তাদের সাজানো স্ব স্ব পন্য দেখাতে। তাদের অনেকেই ছাড় দিতে শুরু করেছেন। এ ছাড়ের পরিমাণ আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে এখনো দর্শনার্থীদের পন্যমুল্য নিয়ে রয়েছে অভিযোগ।

মেলায় ঘুরতে আসা নরসিংদীর খন্দকার শাহীন বলেন,মেলার সব পরিস্থিতি ভালো লাগলো তবে বাইরের পরিবেশে ক্রেতা বান্ধব নয়। আবার মেলার ভেতরের কিছু পন্যের দাম বেশি হাঁকা হচ্ছে। ক্রয় করতে অনেকেই হিমসিম খাচ্ছে। ১৩০ টাকার পন্যের দোকানে ভীর দেখা গেছে নারী ক্রেতাদের।

মেলার ঘুরতে আসা মধুখালীর গৃহীনি তাহছিনা আক্তার নিশাত বলেন, মেলার স্থায়ী প্যাভিলিয়ন ও আয়োজন আন্তর্জাতিক মানের হয়েছে। তবে ভেতরে থাকা পন্যগুলোর বেশিরভাগ চকবাজার থেকে রাখা। তারা বিদেশী বললেও সব বিদেশী পন্য নয় মনে হলো। আর মেলার ভেতরে এখনো নতুন স্টল প্রস্তুত হচ্ছে। তাও নিন্মমানের সাজানো। যা ভালোলাগেনি।

মেলা ঘুরতে আসা হারিন্দার বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, এবার মেলায় আগত দর্শনার্থীদের যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো থাকায় লোকজন আসছে বেশি। তবে মেলার ভেতরের কিছু স্টলের কাজ চলায় পরিবেশ বিব্রতকর। অন্যদিকে বিআরটিসি বাসের ভাড়া আর স্থানীয় পরিবহনের সব ভাড়া বাড়িয়ে দেয়ায় ভোগান্তিও রয়েছে।

মেলার ১৬ দিনের দিনেও স্টল নির্মান কাজ করা শ্রমিক মোতালিব মিয়া বলেন, স্টলটি খালি পরে ছিলো, গাজীপুরের এক ব্যবসায়ী কোন কায়দায় দুটি স্টল মেনেজ করেছে দেরীতে। তাই কাজ পরে শুরু করেছে। আবার শুনছি মেলার মেয়াদ বাড়াবে। তাই আরও ব্যবসায়ীরা প্রস্তুতি নিচ্ছে।

মেলায় আসা দর্শনার্থীদের তথ্য ও নিরাপত্তা জনিত সহায়তায় রয়েছে স্থানীয় ১৭৫ জন স্বেচ্ছাসেবক। তাদের সহযোগিতা পেয়ে খুশি দর্শনার্থীরা। সোনারগাঁও থেকে আসা দর্শনার্থী মাজহারুল ইসলাম বলেন, টিকেট কাটতে দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে কিছুটা হয়রানি হতে হয়েছে। এ সময় স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় সুশৃঙ্খলভাবে প্রবেশ করি।

 
Electronic Paper