ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

মির্জাপুরে চিকিৎসা অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যু

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
🕐 ৮:২১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৯, ২০১৮

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ডাক্তার ও নার্সদের অবহেলা ও গাফিলতির কারণে কৃষ্ণা বিশ্বাস কাজল নামে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মির্জাপুর উপজেলা সদরের প্রাইভেট চিকিৎসা কেন্দ্র মির্জাপুর জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়গনেস্টিক সেন্টারের ডাক্তার ও নার্সদের অবহেলার কারণে তার মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে।

কাজল বিশ্বাস উপজেলা সদরের বাওয়ার কুমারজানী গ্রামের বাসিন্দা ও দেওহাটা এ জে উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রয়াত প্রধান শিক্ষক রাধা বল্লভ বিশ্বাসের মেয়ে। তিনি মানিকগঞ্জ জেলার জামশা গ্রামের লিটন সরকারের স্ত্রী। লিটন সরকার একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন।

জানা গেছে, ৮ মাসের গর্ববতী কাজল বিশ্বাস ব্যথা ও বমি ভাব নিয়ে বুধবার দুপুর দেড়টায় কুমুদিনী হাসপাতাল রোডের বেসরকারি হাসপাতাল মির্জাপুর জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়গনস্টিক সেন্টারে ভর্তি হন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রেজওয়ানা পারভীন কাজল বিশ্বাসকে ব্যথা, বমি, গ্যাস্টিকসহ চারটি ইনজেকশন দেন। তাছাড়া রোগীর ব্যবস্থাপত্রে কয়েকটি পরীক্ষা লিখে চলে আসেন। পরে কাজল বিশ্বাসকে স্যালাইন দেয়া হয়। এরপর ক্রমেই অবস্থা অবনতি ঘটতে থাকে। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কাজল বিশ্বাসকে তাড়াহুড়া করে কুমুদিনী হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। কুমুদিনী হাসপাতালের চিকিৎসকেরা কাজল বিশ্বাসের ডায়বেটিক পরীক্ষা করে দেখতে পান ডায়বেটিকের পরিমাণ ৩৭ পয়েন্ট। পরে চিকিৎসকেরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। বারডেম হাসপাতালে নেয়ার পর সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা কাজল বিশ্বাসকে মৃত ঘোষণা করেন। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ায় প্রসূতির এ করুণ পরিণতি হয় বলে বারডেমের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান। এ তথ্য কাজল বিশ্বাসের কাকা মুক্তিযোদ্ধা দুর্লভ বিশ্বাস স্থানীয় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

কাজল বিশ্বাসের কাকি মির্জাপুর সরকারি সদয় কৃষ্ণ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা আলো রানী বিশ্বাস জানান, মির্জাপুর জেনারেল হাসপাতালের (প্রাইভেট) ডাক্তার, নার্স ও হাসপাতাল মালিকদের অবহেলা ও চরম গাফিলতির কারণে কাজলের মৃত্যু হয়েছে। এদের যাথাপযুক্ত বিচার দাবি করেন।

মির্জাপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক রেজওয়না পারভীন জানান, আমি ওই ক্লিনিকের খণ্ডকালীন চিকিৎসক। কাজল বিশ্বাসকে চিকিৎসা দিয়ে সন্ধ্যায় বাসায় চলে আসি। পরে কে তাকে চিকিৎসা দিয়েছে এবং কুমুদিনী হাসপাতালে স্থানান্তর করেছেন তা আমার জানা নেই।

মির্জাপুর জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডা. আলমের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, ঘটনাটি জেনে তিনি হতবাক হন। প্রত্যেক রোগীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসা দেয়া উচিত বলে তিনি উল্লেখ করেন।

 
Electronic Paper