ফতুল্লায় সুজন হত্যাকাণ্ড: ৩৬ ঘন্টার মধ্যে মূল পরিকল্পনাকারীসহ গ্রেফতার ২
সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
🕐 ৮:১০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৮, ২০২১
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় নয়াবাজার এলাকায় অটোরিকশা চালক হত্যার ঘটনায় ৩৬ ঘন্টার মধ্যে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
সোমবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীতে অবস্থিত র্যাব-১১'র সদর দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন অধিনায়ক লে. কর্নেল তানভীর পাশা। এর আগে রোববার(১৭ অক্টোবর) দিবাগত রাতে নাটোরের বাগাতিপাড়া থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলো- হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী মোঃ আব্দুল মজিদ (৩৭) এবং হত্যাকান্ডে সরাসরি অংশগ্রহণকারী মোঃ মজজেম হোসেন(২৮)।
র্যাব-১১'র অধিনায়ক জানান, গত ১৬ অক্টোবর নৃশংস হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হয়। ঘটনার খবর পাওয়ার পরই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সজিব ফকির নামক এক ব্যক্তি গলাকাটা ও রক্তাক্ত লাশটি দেখে লাশটি তার বাবা সুজন ফকিরের (৪৫) বলে শনাক্ত করেন। পরে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে নিহতের ছেলে বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন (মামলা নং ৩৭)।
তানভীর পাশা জানান, হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী মোঃ আব্দুল মজিদের স্ত্রীর সাথে নিহত সুজন ফকিরের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। এর কারণে সমসাময়িককালে মজিদ ও তার স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ৫ অক্টোবর আব্দুল মজিদের স্ত্রী কাউকে কিছু না বলে বাড়ী থেকে বের হয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুজির পর স্ত্রীকে না পেয়ে আব্দুল মজিদের মনে সন্দেহ হয় যে, তার স্ত্রী সুজন ফকিরের হেফাজতে রয়েছে। তখন থেকেই সে তার ভাতিজা মোঃ মজজেম হোসেনকে নিয়ে সুজন ফকিরকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
হত্যাকান্ডের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আব্দুল মজিদ তার ভাতিজা মোঃ মজজেম হোসেনকে নারায়ণগঞ্জ যাওয়ার কথা বলে। মজজেম নাটোর থেকে নারায়ণগঞ্জ যাওয়ার সময় তার খালাতো ভাই মোঃ হাসান (২২) কে সঙ্গে নিয়ে আসে।
হত্যাকান্ডের আগের রাতে মজজেম ও হাসান নারায়গঞ্জে আসে এবং আব্দুল মজিদের পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা ঘটনার দিন সকালে সুজন ফকিরের এলাকায় যায়। পরিকল্পনা অনুযায়ী আব্দুল মজিদ মোবাইল ফোনে ভিকটিম সুজনকে মোঃ মজজেম এর সাথে দেখা করতে বলে।
ভিকটিম সুজন ফকির মোঃ মজজেম এর সাথে দেখা করতে আসলে মোঃ মজজেমের সাথে কথা আছে বলে অটোরিক্সা যোগে অন্যত্র রওনা দেয়। যাওয়ার পথে নয়াবাজার এলাকায় চলন্ত অটোরিক্সার পিছনের সীটে বসা মজজেম সামনে বসা সুজন ফকিরের গলায় পিছন থেকে ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত করে জখম করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, হত্যাকান্ডে অংশগ্রহণকারী অপর সদস্য মোঃ হাসান গ্রেফতার এড়ানোর জন্য আত্মগোপন করে আছে। তাকে গ্রেফতার করার জন্য র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।