রেললাইনের দুই পাশে ঝুঁকিপূর্ণ অবৈধ বাজার
সুজন সারোয়ার, টঙ্গী (গাজীপুর)
🕐 ১০:২০ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১৯, ২০২১
টঙ্গীর বৌবাজার এলাকায় রেলের জমি দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে স্থায়ী মার্কেট। প্রতিদিন এখানের রেলপথে শতাধিক ট্রেন চলাচল করে। যাতায়াত করে লক্ষাধিক মানুষও। অথচ লেভেল ক্রসিং বা প্রতিবন্ধকতা নেই। ঝুঁকি নিয়ে রেলপথ পারাপার হন পথচারী ও স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা। এতে প্রায়ই বৌবাজার এলাকায় রেলে কাটা পড়ে পথচারী নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
রেলের দুইপাশ ও মাঝের অংশ দখল করে গড়ে উঠেছে ঝুঁকিপূর্ণ বাজার। ছোট-বড় পাঁচ শতাধিক স্থায়ী-অস্থায়ী দোকান থেকে প্রতি মাসে কয়েক লাখ টাকা চাঁদা তুলছে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি চক্র। এর একটি অংশ যাচ্ছে রেলওয়ে পুলিশের অসাধু কয়েকজন কর্মকর্তার পকেটেও।
শুধু বাজার নয়, রেলওয়ের জায়গা দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে বস্তি, রিকশার গ্যারেজ ও স্থায়ী মার্কেট। কিছু কিছু জায়গায় টিনের ঘের দিয়ে স্থাপনা নির্মাণ করে দখল পাকাপোক্ত করেছে দখলকারীরা। দোকান ভাড়া দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ওই চক্রটি।
জানা গেছে, বৌবাজার এলাকায় রেললাইনের মাঝে এবং দুইপার্শ্বে দোকান ভাড়া নেওয়ার জন্য চক্রটিকে অগ্রিম দিতে হয় সর্বনিম্ন ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। প্রতিদিন এসব দোকান ও বিট থেকে ১০০-২০০ টাকা চাঁদা উত্তলেনা করা হয়। এছাড়া বিদ্যুৎ বিল বাবদ লাইটপ্রতি নেওয়া হয় দৈনিক ৫০ থেকে ১০০ টাকা। বৌবাজার এলাকার রেলের জায়গা থেকেও প্রতিদিন একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তির নামে চাঁদা তোলা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা ও দোকানিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রেললাইনের পূর্ব-দক্ষিণ পাশ ঘেঁষে সরকার বাড়ি রোডে গড়ে উঠেছে প্রায় ৫০টি দোকান ও গোডাউন। সিরিয়ালের প্রথম ১০টি দোকান থেকে দৈনিক ২০০ থেকে ২৫০ টাকা করে বিএনপি নেতা সুমন সরকারের নেতৃত্বে চাঁদা ওঠানো হয়।
এ বিষয়ে টঙ্গী রেলওয়ে ফাঁড়িতে যোগাযোগ করা হলে কাউকে পাওয়া যায়নি।