ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ভাঙনকবলিতদের চোখে আশার আলো

শিব শংকর রবিদাস, শিবচর
🕐 ৯:১২ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১৮, ২০১৮

ঐতিহাসিক এক জনসভার সাক্ষী মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বাসিন্দারা। গত ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর অগ্রগতি, রেল সংযোগ ভিত্তিপ্রস্তরসহ চারটি প্রকল্প উদ্বোধন করতে পদ্মা পাড়ে আসেন। তিনি এ দিন মুন্সীগঞ্জে সুধী সমাবেশ ও শিবচরে জনসভায় বক্তব্য রাখেন। জনসভায় পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদের ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত শিবচরের চারটি ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষসহ নড়িয়া ও জাজিরার বিপুলসংখ্যক মানুষ অংশ নেন। ক্ষতিগ্রস্তরা অপেক্ষায় ছিলেন নদীভাঙন প্রতিরোধে কি আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী। স্থানীয় সংসদ সদস্য নূর-ই-আলম চৌধুরী পদ্মার ভয়াবহ ভাঙনের চিত্র তুলে ধরলে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে এর সমাধানে গৃহীত পদক্ষেপ জানালে ক্ষতিগ্রস্তরা আশায় বুক বাঁধছেন।

কাঁঠালবাড়ি ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ঘাটে আসা বিপুলসংখ্যক নদীভাঙন আক্রান্ত মানুষ নতুন করে আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ সংসদীয় দলের সাধারণ সম্পাদক নূর-ই আলম চৌধুরী পদ্মার ভয়াবহ ভাঙন আক্রান্ত নিজ উপজেলা ছাড়াও নড়িয়া, জাজিরার ক্ষয়ক্ষতির চিত্র তুলে ধরলে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে এর সমাধানে গৃহীত পদক্ষেপ জানালে ক্ষতিগ্রস্তরা নতুন করে আশায় বুক বাঁধছেন।

স্থানীয়রা জানান, প্রধানমন্ত্রী যখন জনসভায় আসেন তখন যতদূর চোখ যাচ্ছিল সবত্রই ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। মাঠ ছাড়িয়ে কয়েক লাখ মানুষের অবস্থান ছিল নৌযান, চরাঞ্চল, মহাসড়কজুড়ে। এত ভিড়ের মাঝেও নদী ভাঙনকবলিতদের নজর ছিল প্রধানমন্ত্রীর দিকে। প্রধানমন্ত্রী জনসভায় সবাইকে হাত নাড়িয়ে শুভেচ্ছা জানানোর পর একে একে বক্তব্য রাখেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

এরপর আওয়ামী লীগের সংসদীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি তার বক্তব্যে পদ্মার ভয়াবহ ভাঙনের চিত্র চিত্র তুলে ধরেন। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সফর পদ্মা সেতু পরিদর্শন ও নদীভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলে উল্লেখ করেন। এ সময় তিনি নদীভাঙন প্রতিরোধের আশ্বাস দেন ও গৃহীত প্রকল্পগুলো তুলে ধরেন। তিনি নদীভাঙন প্রতিরোধে ক্যাপিটাল ড্রেজিং ও ডেল্টা প্লানেরও ঘোষণা দেন।

তিনি জানান, নড়িয়ায় নদীভাঙন প্রতিরোধে ১২শ কোটি টাকা দিয়েছি। আড়িয়াল খাঁর ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিয়েছি। এ এলাকার ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের পর ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে যেন স্বস্তির ছায়া নেমে আসে।

শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আহমেদ বলেন, ‘বর্তমান সরকার শিবচরসহ পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদ তীরবর্তী অঞ্চলে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করছে। কিন্তু ভাঙন এ উন্নয়নে বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা। প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি আমলে নিয়ে প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার জানিয়েছেন। এতে নদীপাড়ে মানুষ এখন নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে।’

 
Electronic Paper