ঢাকা, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বৈদ্যুতিক লাইনে বাড়ছে মৃত্যু ঝুঁকি

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
🕐 ৮:২১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২১

বৈদ্যুতিক লাইনে বাড়ছে মৃত্যু ঝুঁকি

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জরাজীর্ণ রয়েছে বৈদ্যুতিক লাইন। আর এসব বৈদ্যুতিক লাইন যেন এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।

বৈদ্যুতিক খুঁটির পরিবর্তে মরা গাছ ও বাঁশের খুঁটিতে জরাজীর্ণভাবে বিভিন্ন গ্রামে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। এর ফলে বিভিন্ন সময়ে ঘটছে দুর্ঘটনা। বৈদ্যুতিক লাইনের এই দুরবস্থা ছাড়াও রয়েছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। দিন দিন ভোগান্তি বেড়েই চলছে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের।

বিভিন্ন জায়গায় ঘটছে প্রাণহানির ঘটনা, তারপরও টনক নড়ছে না কর্তৃপক্ষের। দেখেও যেন না দেখার ভান করে চলছে ভূঞাপুর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ।

জানা যায়, ভূঞাপুরে শতভাগ বিদ্যুতায়নের জন্য ৮২৬ কিলোমিটার নতুন লাইন নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় একশ’ ২৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এ ছাড়াও প্রতিবছর লাইন সংস্কার, খুঁটি, তার, ট্রান্সফরমারসহ বিভিন্ন বৈদ্যুতিক মালামাল ক্রয়ের জন্য বরাদ্দ আসে হাজার হাজার টাকা। তারপরও শতভাগ বিদ্যুতায়ন ঘোষণার সাড়ে চার বছর অতিক্রম হলেও এর সুবিধা পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ।

খুঁটি বাণিজ্য, লাইন বাণিজ্য, ট্রান্সফরমার বাণিজ্য যেন নিত্যনৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে ভূঞাপুর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীদের। টাকা ছাড়া যেন কোনো কিছুই হয় না এ অফিসে। অথচ বিনামূল্যে এসব সুবিধা পাওয়ার কথা গ্রাহকদের।

গোবিন্দাসী গ্রামের আবুল কালাম জানান, গোবিন্দাসী স্কুল রোডে লাইনটি জরাজীর্ণ। মাথা ছুঁই ছুঁই। মরা বাঁশ দিয়ে লাইন টিকিয়ে রাখা হয়েছে।

ভূঞাপুর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মেহেদী হাসান ভূঁইয়ার নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিরাজের সঙ্গে ফোনে এসব বিষয় জানতে চাইলে তিনি বিদ্যুৎ অফিসের অভিযোগ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলেন।

 

 
Electronic Paper