ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

কটিয়াদীতে ভ্যাকসিন নিতে কেন্দ্রে উপচে পড়া ভীড়

আতিকুর রহমান কাযিন, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ)
🕐 ৫:৩৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৮, ২০২১

কটিয়াদীতে ভ্যাকসিন নিতে কেন্দ্রে উপচে পড়া ভীড়

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোভিড-১৯ টিকাদান কেন্দ্রে করোনার ভ্যাকসিন নিতে মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। গ্রাম-গঞ্জের মানুষ টিকা নিতে কেন্দ্রে ভীড় করছেন। এদিকে, গত বছরের চেয়ে এবার টিকাকেন্দ্রে মানুষের ভিড় পূর্বের তুলনায় বেশি এবং চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।

জানা গেছে, এই উপজেলায় গ্রাম-গঞ্জে ব্যাপক হারে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে। বিশেষ করে ভ্যাকসিন সংকট হবে জেনে অনেকেই টিকাকেন্দ্রের ভীড় করছেন। তাই আগে-ভাগে ভ্যাকসিন নিতে কেন্দ্রগুলোতে ভীড় জমাচ্ছে মানুষ।

সূত্র জানিয়েছে, গত ১৩ জুলাই থেকে সিনোফার্ম কোম্পানির ভেরোসেল্ফ টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়। এরই মধ্যে উপজেলার ৩ হাজার ৯০৬ জন মানুষ করোনার টিকা নিয়েছেন। টিকা গ্রহণের পর তারা সকলেই সুস্থ আছেন। এ উপজেলায় আরও ২ হাজার ৫৭৪ জন মানুষ করোনা টিকা নিতে পারবেন। এদিকে, টিকার ঘাটতি হবে না বলে জানিয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।

একাধিক কর্মকর্তা জানান, প্রথম দফার টিকা কার্যক্রমের সময় মানুষের আগ্রহের অভাবে ছিল। তবে এবার টিকা কেন্দ্রে ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে। বর্তমানে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে টিকা নিতে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে।

বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গ্রাম-গঞ্জের মানুষ

করোনার ভ্যাকসিন নিতে টিকাদান কেন্দ্রে ভীড় জমাচ্ছেন। অনেকে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাড়িয়ে থেকে ভ্যাকসিন নিয়েছেন। নিজেদের নিরাপত্তার কথা ভেবে অনেকেই ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহী হচ্ছেন। ফলে ভ্যাকসিন নিতে মানুষ মরিয়া হয়ে উঠেছে।

টিকাদান কার্যক্রমে যুক্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা জানায়, চাহিদার তুলনায় তাদের কেন্দ্রে টিকা দেওয়ার বুথ কম। তাই মানুষের চাপ সামলানো কঠিন হয়ে পড়ছে। ১৫-২০ জনের মতো মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। অনেক বড় লাইন। বুথ কম হওয়ায় তাদের টিকা নিতে অনেক সময় লাগছে।

টিকা নিতে আসা মসূয়া গ্রামের মঞ্জিল মিয়া (৬০) নামের এক বৃদ্ধ বলেন, 'জীবনের নিরাপত্তার জন্য টিকা নিতে এসেছি। আগে টিকা সম্পর্কে ভুল ধারণা ছিল। তাই টিকা নিতে পারিনি। আজ করোনার টিকা নিতে এসেছি।' কটিয়াদী পূর্বপাড়া এলাকার শাহানাজ (৩৬) বলেন, 'করোনা সংক্রমণ বেড়েছে। তাই আমার পরিবারের সকলেই করোনার টিকা নিয়েছি।'

উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. নাজমুস সালেহীন বলেন, 'এখনো পর্যাপ্ত পরিমাণ টিকা আছে। টিকা নিতে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। আমাদের টিকার কোন ঘাটতি নেই।'

 
Electronic Paper