ফেরিতে চাপ কমলেও বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে চলেছে পারাপার
মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
🕐 ৯:৩৩ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২৩, ২০২১
দেশব্যাপী ১৪ দিনের কঠোরতম লকডাউন শুরুর প্রথমদিনে বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার হচ্ছে। শুক্রবার সকাল হতে শত শত যাত্রী ও যানবাহন পারাপার হতে দেখা যায় নৌরুটের ফেরিগুলোতে। তবে পূর্বের চেয়ে আজ যাত্রী ও যানবাহনের চাপ অনেকটাই কমে এসেছে।
এদিকে নৌরুটে লঞ্চ বন্ধ থাকলেও লকডাউন বাস্তবায়নে ঘাট অভিমুখে এবং ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পুলিশের কোনো নজরদারি, চেকপোস্ট লক্ষ্য করা যায়নি। এতে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে শত শত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী যাত্রীরা ঘাটে এসে উপস্থিত হচ্ছে। জরুরি ও বিধিনিষেধ আওতার বাইরে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারের কথা থাকলেও অবাধে পারাপার হচ্ছে সকল জনসাধারণ। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের একাধিক চেকপোস্ট থাকাতে যানবাহন শূন্য রয়েছে। অ্যাম্বুলেন্স চলাচল করছে।
এ বিষয়ে বিআইডাব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মোঃ ফয়সাল জানান, নৌরুটে বর্তমানে ১৪টি ফেরি চলাচল করছে। বিধি আরোপের সময়ের আগে ঘাটে আসা যাত্রী যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ঘাটে ৭০-৮০টি ব্যক্তিগত ও পণ্যবাহী গাড়ি আছে। এসব যানবাহন পারাপারের পর ফেরির সংখ্যা কমিয়ে আনা হবে।
বিআইডাব্লিউটিএ শিমুলিয়া লঞ্চঘাটের কর্মকর্তা মোঃ সোলেমান জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। লকডাউনের নিয়ম অনুযায়ী আজ আর লঞ্চ চলেনি, লঞ্চঘাটে যাত্রীও নেই। ঘাটে যেসব যাত্রীরা আসছেন তারা ফেরিতে পার হচ্ছেন।
মুন্সিগঞ্জ জেলা পরিষদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশাসন সুমণ দেব জানান, মুন্সিগঞ্জে একাধিক চেকপোস্ট রয়েছে। সরকারি বিধিনিষেধ মানতে যাত্রীদের বাধ্য করা হবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক এবং শিমুলিয়াঘাট এলাকায় পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।