ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে উভয়মুখী যাত্রী চাপ

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
🕐 ১২:০৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ২২, ২০২১

শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে উভয়মুখী যাত্রী চাপ

লকডাউনকে কেন্দ্র করে ঈদ উদযাপনের পরদিনই রাজধানীসহ কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ। আবার ঈদের আগে বাড়ি ফেরতে না পারা যাত্রীরা ফিরছেন বাড়ি। এতে বৃহস্পতিবার সকাল হতে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের ফেরি ও লঞ্চে উভয়মুখী যাত্রীদের চাপ দেখা দিয়েছে। তবে বাড়ি ফেরা মানুষের চাইতে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের সংখ্যা কয়েকগুন বেশি।

এদিকে শিমুলিয়াঘাটে পরাপারের অপেক্ষায় এখনো ব্যাক্তিগত ও পন্যবাহী গাড়ির দীর্ঘ সারি।

বিআইডাব্লিউটিসি সূত্রে জানা যায়, ঘাটে ব্যাক্তিগত ও পন্যবাহী মিলিয়ে ৫ শতাধিক গাড়ি পদ্মা পারের অপেক্ষায় আছে। অন্যদিকে লঞ্চে ভোগান্তি ও চাপ কিছুটা কম। শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া মাজিরকান্দি নৌরুটে ৮৪টি লঞ্চে উভয় যাত্রীরা নির্বিঘ্নে পারাপার করছে।

বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত আফজাল হোসেন জানান, ঢাকার মিরপুরে যাব ফ্যামিলি নিয়ে ঈদ করতে খুলনা গিয়েছিলাম। ফ্যামিলির সবাইকে রেখে আসছি লকডাউন এর কারণে। আমাকে ঢাকায় ঢুকতে হবে, কারণ ব্যাংক খোলা। যার জন্য শিমুলিয়া ঘাটে এসেছি।

আকরাম হোসেন ব্যবসায়ী জানান, গ্রামের বাড়ি মাদারিপুর এ গিয়েছিলাম কুরবানী দিতে। ঢাকায় করোনার প্রভাব এর জন্য গ্রামে গিয়েছিলাম কোরবানী দিতে। এখন ঢাকায় যাচ্ছি উত্তরায়।

সেলিনা আফরোজ বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত, সপরিবারে ঈদ করতে গিয়েছিলেন বাগেরহাটে। সচরাচর গ্রামের বাড়িতে যাওয়া হয় না কোরবানি উপলক্ষে প্রতিবছর যাই। এ সপরিবারে গিয়েছি তো তড়িঘড়ি করে। এখন আমরা ঢাকার জিগাতলা ফিরছি লকডাউন হবে বলে।

বিআইডাব্লিউটিস শিমুলিয়াঘাটের ব্যবস্থাপক (বানিজ্য) মো. ফয়সাল আহমেদ জানান, নৌরুটে বর্তমানে ছোট-বড় মিলিয়ে ১৫টি ফেরি সচল রয়েছে। ঘাট এলাকায় পারাপারের জন্য ব্যাক্তিগতগাড়ি মিলিয়ে ৪ শতাধিক যানবাহন রয়েছে। সকাল থেকে যাত্রী এবং মোটরসাইকেল চাপ রয়েছে ফেরি গুলোতে।

তিনি আরো জানান, পদ্মায় তীব্র স্রোতে নৌরুটে ফেরি চলাচলে বেশি সময় আর ঘাটে থাকা যানবাহন পারাপারে বেগ পেতে হচ্ছে।

 
Electronic Paper