ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণের পর সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ

সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
🕐 ৯:৩০ অপরাহ্ণ, জুন ১৬, ২০২১

৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণের পর সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা জামপুর ইউনিয়নে ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার দুপুরে অপহৃত ওই ছাত্রীকে উপজেলার বাগবাড়িয়া কবরস্থান এলাকা থেকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান। পুলিশ ওই ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।

মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন রাউৎগাঁও গ্রামের আবদুল আউয়ালের ছেলে জাকারিয়া, রাউৎগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে রায়হান ও আবু তালেবের ছেলে মেহেদী হাসান।

মামলার অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নে এক স্কুলছাত্রী রোববার (১৩ জুন) সন্ধ্যায় স্থানীয় জাকারিয়ার মুদি দোকানে সদাই কিনতে যায়। এ সময় পেচাইন গ্রামের আম্বর আলীর ছেলে রমজান আলীর নেতৃত্বে জাকারিয়া, রায়হান ও মেহেদী হাসান মিলে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।
এদিকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পর তাকে না পেয়ে পরদিন সোমবার (১৪ জুন) সকালে ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ করেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে অপহরণকারীদের পরিবারকে ওই ছাত্রীকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে।

পরে অপহরণকারীদের পরিবার তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে বুধবার দুপুরে বাগবাড়িয়া কবরস্থান এলাকায় ওই ছাত্রীকে অসুস্থ অবস্থায় রাস্তার মধ্যে ফেলে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে তালতলা ফাঁড়ি পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে যায়। পরে ওই ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

অপহৃত স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, অপহরণকারীরা আমার মেয়েকে তিন দিন অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে। অপহরণকারীদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমার মেয়েকে রাস্তার মধ্যে ফেলে যায় তারা। তাদের শর্ত ছিল, মেয়েকে ফিরে পেতে হলে ওই সড়কে আমাদের কোনো লোকজন থাকতে পারবে না। তাদের কথামতো ওই স্থানে আমরা কেউ ছিলাম না। ফেলে যাওয়ার পর আমাদের খবর দিলে আমরা ওই এলাকা থেকে মেয়েকে নিয়ে আসি।

সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, স্কুলছাত্রী অপহরণের ঘটনায় মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। ভুক্তভোগীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

 
Electronic Paper