ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

রূপগঞ্জে ব্যবসায়ীর ব্যক্তি উদ্যোগে ন্যায্যমূল্যে পন্য বিক্রি

মাহবুব আলম প্রিয়, রূপগঞ্জ
🕐 ১:১০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৮, ২০২১

রূপগঞ্জে ব্যবসায়ীর ব্যক্তি উদ্যোগে ন্যায্যমূল্যে পন্য বিক্রি

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়ন এলাকায় মাহে রমজান ও মহামারী করোনা পরিস্থিতিতে নিন্ম আয়ের সাধারণ লোকজনের জন্য ব্যক্তি উদ্যোগে ন্যায্যমূল্যে পন্য বিক্রির কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ মিজানুর রহমান মিজান। এতে প্রায় ৪০ হাজার লোকের বর্তমান বাজার মূল্যের নাভিশ্বাস পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেলেন বলে জানালেন কায়েতপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দারা।

স্থানীয় বাসিন্দা লুৎফর রহমান মুন্না জানান, কায়েতপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য ও রংধনু গ্রুপের পরিচালক মিজানুর রহমান মিজানের উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে বসানো হয়েছে ন্যায্যমূল্যের দোকান। এসব দোকান থেকে সাধারণ ক্রেতারা তাদের প্রয়োজনীয় পন্য ক্রয় করছেন সুলভ মূল্যে। এভাবে স্থানে স্থানে যেয়ে ট্রাক থামিয়ে এসব পন্য বিক্রি করায় খুশি নিন্ম আয়ের লোকজন।

বাজার ঘুরে জানা যায়, বর্তমান বাজারে চালের মূল্য যেখানে ৫৫ থেকে ৬০ টাজা কেজি, সেখানে ওই ব্যবসায়ীর উদ্যোগে করা দোকানে চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। এভাবে বাজারে ডাল ৭০-৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এখানে ৬২ টাকা, পিঁয়াজ ৪৫ টাকা হলেও এখানে ৩২ টাকা, সয়াবিন তেল ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা হলেও এখানে ১১৮ টাকা, আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা হলেও এখানে ১৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ মিজানুর রহমান মিজান বলেন, আমার জন্মস্থান কায়েতপাড়া ইউনিয়ন। আমার এলাকায় মানুষের কাছে আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমার বড় ভাই ব্যক্তিগত এবং সরকারি উদ্যোগে দরিদ্রদের সহায়তা করে আসছেন। কিন্তু করোনা মহামারিতে লকডাউন পরিস্থিতিতে নিন্ম আয়েক লোকজন খুব কষ্টে আছে। আবার রমজান মাস। সব মিলিয়ে বাজার মূল্য তাদের অনুকুলে নয়। এসব বিবেচনায় সাধারন মানুষের জন্য ন্যায্যমূল্যে পন্য ক্রয়ের ব্যবস্থা করেছি। জনগণের খুশি দেখে এ কাজ করতে পেরে স্বস্তি পাচ্ছি।

এদিকে রাজধানীসহ সারাদেশই বেগুন, শসাসহ নিত্যপণ্যের আকাশচুম্বী দামে ভোক্তারা নাভিশ্বাস পোহাচ্ছেন। রূপগঞ্জেও এর প্রভাব করুণ। উপজেলার অন্যান্য কাঁচাবাজারেও অতিমুল্যে বিক্রি হচ্ছে সব্জিসহ সকল নিত্য পন্য। ব্যবসায়ীরা করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউনকে দায়ী করছেন।

এছাড়াও রূপগঞ্জের ভুলতা,গাউছিয়া, তাঁতবাজার, মুড়াপাড়া, ভক্তবাড়ি, কাঞ্চন, ইছাপুরা, বেলদী, আতলাপুর, তারাবো বাজার ঘুরে দেখা যায়, এসব বাজারে ইফতার আইটেম ছাড়াও পটল ৬০ টাকা, বেগুন ৭০-৮০ টাকা,কাঁচা মরিচ ১শ টাজা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কোথাও পন্য মুল্য ঝুলিয়ে রাখতে দেখা যায়নি। আবার রূপগঞ্জের কোথাও টিসিবির ন্যায্যমুল্যের পন্যবিক্রির গাড়ী দেখা যায়নি।

কাঞ্চন কাঁচাবাজার পরিচালনা কমিটির সদস্য নুর মোহাম্মদ জানান, আড়ত থেকে পণ্যক্রয়ের রশিদ দেয়া হয় না বলেই বাজারে নির্দিষ্টমূল্য নির্ধারণ করা যাচ্ছে না।

 
Electronic Paper